শ্যামলবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত: অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে ফুলবাড়ী স্টেশনে সীমান্ত ও একতা এক্সপ্রেসের মধ্যে ওই মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দিনাজপুরের সঙ্গে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর ট্রেন চলাচল প্রায় ৫ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে পড়ে।
জানা যায়, সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ফুলবাড়ী রেল স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো ছিল। অন্যদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্ত:নগর একতা এক্সপ্রেস লাইন ক্লিয়ার পেয়ে ভোর পৌনে ৪টার দিকে ওই লাইনে ঢুকে পড়ে। ফলে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে সীমান্ত এক্সপ্রেসের একটি এবং একতার ৩টি বগি লাইন থেকে উল্টে গেলে যাত্রীরা ছিটকে পড়ে আহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং ৪ জনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পশ্চিম রেলের প্রধান নির্বাহী হাসান মনসুর ওই দূর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পয়েন্টসম্যান ভুল সিগন্যাল দেয়ার কারণেই দুই ট্রেন একই লাইনে ঢুকে পড়ে বলে প্রাথমকিভাবে ধারণা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম খান জানান, দুর্ঘটনার পর সকাল ৮টার দিকে পার্বতীপুর থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৩ নম্বর লাইনটি খুলে দেয়ার পর ট্রেন চলাচল আবার শুরু হয়। দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা সহকারী স্টেশন মাস্টার অব্দুল হামিদ ও পয়েন্টসম্যান ইউনুস পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
