ইয়ানুর রহমান, যশোর : মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেনাপোলের ৭ শিশু শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২ লাখ ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান এবং নিহতদের স্মৃতি রক্ষায় তাদের নামে বেনাপোলের গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন করার ঘোষনা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি। একই সাথে তিনি আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে বলে জানান। তিনি আজ বেনাপোলে আয়োজিত নিহত শিশুদের দোয়া মাহফিলে এই ঘোষনা দেন।
গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর সফর সঙ্গী মোঃ আশরাফুল আলম ডাবলু, খুলনা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালক শেখ রায়হান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম শরিফুল আলম, যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত বণিক, শার্শা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদূর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সূসীল সমাজেরা উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ মাহফিলে নিহতদের আতœার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মন্ত্রী নিহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন।
এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ৭ নিহত সোনামনিদের মা, বাবা আত্মীয় স্বজনসহ আহতদের পরিবারেরা। তাদের কান্নায় আকাশ যেন নিস্তব্ধতা মেরে যায়, ভারি হতে থাকে বাতাস। কে দেবে শান্তনা ? ঢাকা থেকে শান্তনা দিতে ছুটে আসা মন্ত্রীও যেন ভাষা হারিয়ে ফেললেন। তবু কান্না জড়িত কন্ঠে শোকার্তদের বুকে টেনে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। সে কি বিষ্ময়কর পরিবেশ, সকলের চোখের কোনে জল ছলছল করছিল। যেন উপস্থিত হাজারো জনতা সন্তান হারিয়েছেন। এ..কি নাড়ির টান ? নাকি মাটি ও মানুষের টানে সকলের চোখে জল আসছিল। সকলের যেন বুক ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছিল। ঘটনার ৪ দিন পরেও বেনাপোলে যেন আবারো শোকের মাতম নেমে এলো।
উলেখ্য, ১৫ ফেব্র“য়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌগাছার ঝাউতলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শিশু শিক্ষার্থী নির্মমভাবে নিহত হয়। আহত হয় ৪২ জন। এদিন মুজিব নগরে শিক্ষা সফর শেষে তারা বাড়ি ফেরার পথে এ দূর্ঘটনার স্বীকার হয়।