এম.আবদুল্লাহ আনসারী, পেকুয়া (কক্সবাজার) : পেকুয়ায় পল্লী বিদ্যূতের অসহনীয় লোডশেডিং ও ভেলকিবাজিতে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যূত নির্ভর ব্যবসায়ীরা ও বিদ্যূত না পেয়ে আয় রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। ১৬ ফেব্রæয়ারী বিকাল থেকে ১৭ ফেব্রæয়ারী দুপুর পর্যন্ত টানা বিদ্যূত সংযোগ পেকুয়ায় বিচিছন্ন থাকায় পেকুয়ার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ ১৭ ফেব্রæয়ারী দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত অন্তত ৩০ বার বিদ্যূত আসা যাওয়া করায় বিদ্যূত নির্ভর কাজকর্ম করতে পারেনি। টানা ১০ মিনিটও বিদ্যূত সরবরাহ স্থায়ী না থাকায় সাধারণের গ্রাহকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পেকুয়া পল্লী বিদ্যূতের অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে কখন বিদ্যূত আসবে আবার কখন চলে যাবে তাও তারা জানাতে পারছেনা। পেকুয়া পল্লী বিদ্যূতের অফিস সুত্রে জানাযায় পেকুয়ায় সাড়ে ৫হাজার গ্রাহকের জন্যে ৩মেগাওয়াট বিদূতের চাহিদা রয়েছে। চকরিয়া জোনাল অফিসের অধীনে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যূত সরবরাহ সুবিধার সাবষ্টেশন থাকলেও চাহিদা রয়েছে ৮মেগাওযাট বিদ্যূতের। বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৪মেগাওয়াট। সে হিসেবে পেকুয়াতে দৈনিক ১২ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যূত সরবরাহ থাকার কাগজে কলমে নিয়ম থাকলেও দফায় দফায় সরবরাহকৃত বিদ্যূতের যোগফল মেলালে ৫ঘন্টার বেশী হবে না বলে গ্রাহকরা অভিযোগ তুলেন। দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়ার বিদ্যূত লাইন সমস্যায় থাকলেও কর্তৃপক্ষ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। পেকুয়া পল্লী বিদ্যূতে আওতায় কত মিটার লাইন আছে কি পরিমাণ লাইন ঝুকিপূর্ণ তাও তারা জানেনা। কয়েক মিনিট পর পর ভেলকি দেয়ার কারণে কম্পিউটার ফ্রিজ অনেক ক্ষেত্রে বাল্ব নষ্ঠ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যূত বিভাগের লোকদের কাছে অভিযোগ করার পরও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যূত সরবরাহ করতে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করছে গ্রাহকরা। ১৭ ফেব্রæয়ারী রাত ৯টার দিকে পেকুয়া পল্লী বিদ্যূত অফিসে কখন বিদ্যূত আসবে জানতে চাইলে তারা পরিস্কার ভাষায় বলে দেয় কক্সবাজার অফিসই ভাল বলতে পারবে মনে হয় সারা রাত আসবেনা। সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ দৈনিক কত ঘন্টা বিদ্যূত সরাবরাহ করবে কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত বিদ্যূত থাকবে তাও কর্তৃপক্ষ সর্বসাধারণকে অবগত করেনা। যতক্ষণ বিদ্যূত দেবে তা ১০ মিনিট ৫ মিনিট করে দফায় দফায় না দিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট স্থায়ী বিদ্যূত সরবরাহ নিশ্চিত করলে সে সময়ের মধ্যে কাজগুলো সেরে ফেলা যেত। পেকুয়ায় বিদ্যূত সরবরাহে লাগামহীন দায়িত্বহীনতা সাধারণ মানুষের মাঝে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তা যে কোন সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির রূপনিবে বলে আশংকা করছে তারা। পেকুয়ায় বিদ্যূত ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি সম্পর্কে পেকুয়া বিদ্যূত অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মো.কফিল উ্িদ্দনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পেকুয়ার বিদ্যূত সরবরাহ বরাদ্দ দেয়া হয় চকরিয়া থেকে যাবতীয় তারাই জানেন।