শ্যামলবাংলা ডেস্ক : নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েই নতুন মন্ত্রী আমির হোসেন আমু জানালেন, নির্বাচনে কারা অংশ নিল সেটা বড় কথা নয়, নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়ল সেটাই বিবেচ্য। ২৪ নভেম্বর রবিবার সকালে ভূমি এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিজ দপ্তরে প্রথম দিনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওই কথা বলেন আমু। তিনি সকাল সোয়া ১০টায় সাদা পাজামা-পাঞ্জাবীর সঙ্গে ছাই রঙের মুজিব কোট পরে ভূমি মন্ত্রণালয়ে যান। এরপর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি। এসময় তিনি বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ উদ্যোগ চলমান বলে উল্লেখ করে বলেন, তবে বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমু প্রসঙ্গক্রমে বলেন, আওয়ামী লীগও তো নির্বাচনে না যেতে পারে। তাহলে কি নির্বাচন হবে না? কেউ যদি মনে করে নির্বাচনে পরাজিত হবে, তাই নির্বাচনে যাবে না- তাহলে কি নির্বাচন হবে না? আসলে নির্বাচনে জনগণের টার্নআউট কতটুকু, কতজন ভোট দিলেন সেটাই বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত।
তিনি তফসিল ঘোষণার পর দেশ অচল করে দেয়া হবে বলে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হুমকির সমালোচনা করে বলেন, এটা গণতান্ত্রিক ভাষা নয়। তার (ফখরুল) ভাষা মানুষ গ্রহণ করে বলে আমি মনে করি না। মানুষ আশা করেছিল উনারা (বিএনপি) বলবেন যে তারা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বিরোধী দল আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই আন্দোলন থেকে মানুষ সরে দাঁড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা তৈরি হোক তা চাই না। আমাদেরও আন্দোলন করতে হতে পারে। তিনি নির্বাচন সফল করতে গেলে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ দরকার বলে মন্তব্য করে বলেন, আমাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারে দায়িত্বগ্রহণ প্রসঙ্গে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনের আগে খুব অল্প সময় রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনী কাজে এলাকায় যেতে হবে। তবে মন্ত্রণালয়ের রুটিন কাজও সারতে হবে। তিনি কোন কাজটি আগে করতে হবে তা কর্মকর্তাদেরই ঠিক করে দেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিবেক-বিবেচনা দিয়ে অবস্থান পর্বেক্ষণ করে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন।
সকালে দপ্তরে আসার পরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নতুন মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করীম হীরা ও প্রতিমন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমানও ওইসময় উপস্থিত ছিলেন।