কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুরের কান্তিনগর বোয়ালদাহ গ্রামের রহিজুলের স্ত্রী শ্যামলী (২৮) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার গভীর রাতে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় তার লাঁশ উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন। জানা যায়, ১৪ বছর আগে কুমারখালী থানার চরবানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আত্তাব মন্ডলের মেয়ে শ্যামলীর সাথে কুষ্টিয়া সদর থানার হাটশ হরিপুরের কান্তিনগর বোয়ালদাহ গ্রামের মৃত হোসেন প্রামানিকের ছেলে রহিজুলের বিয়ে হয়। রহিজুল পেশায় গাড়ীর হেলপার। গাড়ীর হেলপারী পেশায় থেকে অর্থ উপার্জন করে পরিবার পরিজন নিয়ে চলছিলো। তাদের ঘরে দুটি কন্যা সন্তান আছে, বড় মেয়ে স্বপ্না ও ছোট মেয়ে রত্না। স্বপ্না জানায়, আমরা দুই বোন প্রতিদিন রাতে মায়ের কাছেই থাকি, আর আববু গাড়ীতে থাকে একদিন দুইদিন পরে বাড়িতে আসে। ঘটনার রাতে স্বপ্না সাড়ে তিনটার সময় প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মা গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় ঘরের ডাবের সঙ্গে ঝুলে আছে। ঐ মুহুর্তে স্বপ্না চিৎকার করলে বাড়ীসহ আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে লাশটি নামিয়ে রেখে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। এদিকে ছোট মেয়ে রত্মা ও বড় মেয়ে স্বপ্না বলে আববা বাড়িতে ছিলো না। এলাকাবাসি জানায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সুরতহাল রিপোর্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশ প্রেরণ করে। নিহতের পরিবার দাবী করেছে শ্যামলীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ঘরের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্ত্ততি চলছিলো।
