ঝালকাঠি প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৮ দিন যাবৎ বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে কাঠালিয়া উপজেলা প্রশাসন ও ব্র্যাকের সহায়তায় বাচাঁর পথ খুজে পেলেন রুনু বেগম। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রুনুর ২ বছরের এক মাত্র মেয়ে লামিয়ার জন্যই তার এ বেচে থাকার আকুতি বলে সাংবাদিকদের জানান। অবশেষে এসিড নিক্ষেপ কারীদের বিরুদ্ধে রুনুর মা রেহেনা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে ৭ এপ্রিল কাঠালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিনই এসিড সন্ত্রাসের মুলহোতা সতীন হাসিনা ও আক্কাস নামের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ছিটকির কাটাখালী গ্রামের দিনমজুর মোঃ রব্বেল আলীর বড় মেয়ের সাথে মোঃ লাল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পরে বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও পুনরায় ডির্ভোসই স্ত্রী রুনুকে বিবাহ করতে চায় লালমিয়া। এ ঘটনা জানাজানি হলে লাল মিয়ার প্রথম স্ত্রী (সতীন) হাসিনা বেগম তার লোকজন নিয়ে ২০ মার্চ গভীর রাতে ঘুমন্ত রুনু বেগমকে এসিডে জলসে দেয়। ঘটনার পরপরই চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ১৮ দিন চিকিৎসা দেয়ার পরেও রুনুর অবস্থা আশংখ্যা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গরীব অসহায় পিতা রব্বে আলীর পক্ষে রুনুর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার কোন সমর্থন না থাকায় ৩ দিন বাড়িতে বসেই ধুকে,ধুকে কাঁদতে ছিলো। স্থানীয় লোকজনের পরমর্শে গত সোমবার ৭ এপ্রিল সকালে এসিড নিক্ষেপ কারীদের বিরুদ্ধে মামলার জন্য কাঠালিয়া থানায় রুনুকে নিয়ে আসে তার পরিবার। সে খানে উপস্থিত সাংবাদিকদের রুনু কেঁদে বলেন, আমার ২ বছরের মেয়ে লামিয়ার জন্য আমি বাঁচতে চাই। তখন সাংবাদিক,স্থানীয় প্রশাসন ও কাঠালিয়া ব্র্যাক অফিসের সহায়তায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলী,কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনচাজ মোঃ তোফাজ্জেল হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
