ads

সোমবার , ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় ৪৬০ কোটি টাকা : টেকসই হচ্ছে না শহর রক্ষা বাঁধ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ২৭, ২০১৪ ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

sirajgonj photo 27.01.14সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : যমুনা নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করেও ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পায়নি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ। এরপরও বঙ্গবন্ধু সেতু ও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ রক্ষায় আবারও খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বার বার নক্সা পরিবর্তন ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার আভাবে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ । আর ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া এই খনন কাজ চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত চলবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে। আর একাজের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনের মেসার্স চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে।

Shamol Bangla Ads

সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের প্রথম চুক্তিমূল্য ৩’শ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার টাকার খনন ব্যয় ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৪০ ডলার। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টের উজান থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উজান পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার যমুনা নদী আবারও খনন করা হবে। এর আগে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধে ধ্বস ঠেকাতে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে যমুনা নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ শুরু করা হয়। ২ বছর মেয়াদী পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ৪৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। গত বছরের আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দুদফা এবং চলতি বছরের ১০ জানুয়ারিতে ৪০ মিটার সহ বাঁধের প্রায় ২শ’ ৪০ মিটার এলাকা যমুনা নদীতে ধ্বসে পড়ে। এই ধ্বসের কারন হিসেবে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এবারও প্রকৃতির খেয়ালকে দায়ী করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর তলদেশের বর্তমান অবস্থা কেমন আছে তা সঠিক ভাবে নিরুপণ করা যাচ্ছেনা বিধায় শুস্ক মৌসুমে ধস দেখা দিয়েছে। যে কারনে বাঁধ ধসে পড়েছে। তাদের মতে, যমুনা নদীর গতি প্রকৃতি নির্নয় করা সম্ভব হয়না। একেক সময় একেক স্থানে সরে যায়। যে কারনে বার বার বাঁধে ধ্বস নামছে। তবে এ থেকে মুক্তি পাবার উপায় হিসেবে তারা বলছেন উন্নত বিশ্বের মতো শহর রক্ষা বাঁধের নিচে ৮০ থেকে ১শ ফিট উচ্চতার পাইপ দিয়ে পাইলিং করা। এতে ঘূর্ণাবৃত্তের আঘাত থেকে শহর রক্ষা বাঁধ ও বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা করা সম্ভব হবে।
একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর গাইড বাঁধ রক্ষায় যে পরিমান বরাদ্দ দেয়া হয় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের ক্ষেত্রে তা দেয়া হয় না। আবার বরাদ্দ পেলেও তা সঠিক সময়ে পাওয়া যায়না। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা আয় করছে। যে কারনে সেখানে বরাদ্দ দিতে সমস্যা হচ্ছে না। তবে সিরাজগঞ্জবাসী এই ভাঙ্গনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন।
সিরাজগঞ্জ স্বার্থ রক্ষা কমিটির আহবায়ক ডাঃ জহুরুল হক রাজা বলেন, সিরাজগঞ্জ বাসীর দাবীর মুখে সরকার সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর ভ্াঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য নদীতে ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং শুরু করে। কিন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন না করায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও সিরাজগঞ্জকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা যায়নি। এতে করে নদীতে ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং খুব একটা কাজে আসেনি বলে তিনি মনে করছেন। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে ১৪ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ৫টি ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ শুরু করে। খননকৃত বালু কাওয়াকোলা, বড়পিয়ার এবং যমুনা বালি নামক চরে ফেলা হয়। এর ফলে এসব চরের প্রায় ৫৫ হেক্টর জমিতে লাগানো বাদাম, সরিষা সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে চরের কৃষকদের সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরোধ সৃষ্টি হয়। বার বার ডিজাইন পরিবর্তনের কারনে সিরাজগঞ্জ হার্ডপন্টের ২ এলাকায় শূন্য থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চর অপসারন কার্যক্রম মারাতœক ব্যহত হয়। তিনবার ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়। প্রথমে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের পূর্ব পাশে চরে বালু ফেলার কথা ছিল। পরে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে হার্ডপয়েন্টের পশ্চিম পাশে বালু ফেলার নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানা গেছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং ভাঙ্গন রোধে কাজে না আসলেও খননকৃত বালি দিয়ে বাঁধের দু’প্রান্তে ৪টি রিং বাঁধ তৈরী করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বালির এই বাঁধকে ব্লক দিয়ে শক্তিশালী করতে বরাদ্দ চেয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরই) শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.রফিকুল আলম বলেন, যমুনা নদীর গতি প্রকৃতি বুঝা কঠিন এছাড়া পরিকল্পিত নক্সানুযায়ী কাজ হচ্ছে এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এখানে দায়িত্ব অবহেলার কোন সুযোগ নেই। তবে তিনি বলেন ক্যাপিটাল ড্রেজিং একেবারেই কোন কাজে আসেনি তা বলা যাবে না। কারন খননকৃত বালি দিয়ে শহর রক্ষা বাঁধের ধ্বস ঠেকাতে বাঁধের দু’পাশে ৪টি রিং বাঁধ তৈরী করা হয়েছে। এখন ব্ল¬ক দিয়ে এই বাঁধ ৪টি বাঁধা গেলে শহর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে যে চ্যানেলটি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তা মাঝ নদীতে সরে যাবে। এতেকরে নদীর পশ্চিমকুলের ভাঙ্গন বন্ধ হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!