জাকির হোসেন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাতকে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের উত্তর বড় কাপন গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাড়ে ১৬ শতক বাড়িয়ান ভূমি নিয়ে উত্তর বড় কাপন বানায়েত গ্রামের মৃত আফতা মিয়ার পুত্র এহসানুল হক ও উত্তর বড় কাপন টুকেরগাঁও গ্রামের মৃত চৈছ মিয়ার পুত্র তাজ উদ্দিন ওরফে বয়তুল্লাহর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা ও একাধিক সালিশ বৈঠকও হয়েছে। বিরোধকৃত ভূমিতে তাজ উদ্দিন জোর করে পাকাঘর নির্মাণ করতে গেলে ঘটনার দিন সকালে এহসানুল হক বাঁধা প্রদান করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র, ইট-পাটকেল ও বোতল ব্যবহার করা হয়। খবর পেয়ে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম, এএসআই কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার আগেই উভয়পক্ষের মহিলাসহ শতাধিক লোক আহত হয়। গুরুতর আহত হানিফা বেগম (৬০), আমির আলী (৫০), ওয়াহাব আলী (৭০), নুরুল আমীন (৩৫), আজাদ মিয়া (৪৫), এহসানুল হক (২৫), শামছু মিয়া (৫০), হাবিবুল হক (২৫), হাবিবুর রহমান (৩০), আরিজ মিয়া (৩৬), হিরন মিয়া (৪৫), জয়নাল (৪০), বশির মিয়া (৪৫), ইছমত আলী (২৫), তরমুজ আলী (২০), কামাল হোসেন (২২), আলাল হোসেন (২৫), জব্বার আলী (৫৫), এমরান (২৫), জয়নাল আবেদীন (২৭), ফয়জুল হক (৪৫), আম্বুল মিয়া (৩০), রাহেলা বেগম (৫০), আক্তার হোসেন (৩০), কাঁচা মিয়া (৩০), বরজু মিয়া (৪০), জাহান মালা (৪০), আলাউদ্দিন (৪৫), আরজ আলী (৪০), আরিজ আলী (৪২), ইন্তাজ আলী (৬০), মুহিত মিয়া (২৫) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।