বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা : সিডরের ভয়াবহতার স্মৃতি আজো বয়ে বেড়াচ্ছে বেতাগীর মানুষ।সেদিন উপকুলীয় এ জনপদে নেমে আসে মানবিক বিপর্যয়। ঘূর্নি ঝড়ের কবলে শুধু বুড়ামজুমদারের গ্রামার্দ্দন গ্রামে একই পরিবারে রাকিব, সোনিয়া, নাজমা বেগম ও শাহনাজ বেগম সহ উপজেলায় মারা যায় ৩১ জন।আহত হয় শত শত লোক।বেচেঁ যাওয়া সর্বস্ব হারানো মানুষগুলোর অনেকেই এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী এ রাতটির কথা মনে উঠতেই শিউরে উঠে গোটা শরীর।চিরচেনা গ্রামগুলো ছিলো নীরব, নিথর নিশ্চিহ্ন জনপদের রুপ।সিডরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক নিরুপন না করা গেলেও সরকারী হিসেব অনুযায়ী ৩৪ হাজার ৭৫২ জন লোক সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। এখানকার অসহায়দের মাথা তুলে দাঁড়াতে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি, সংস্থা দুর্গতদের পাশে এগিয়ে আসে। গনমাধ্যম কর্মিরা সংবাদ পরিবেশন সহ নানা ভাবে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে ।
তবে ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি এখানের ক্ষতিগ্রস্থদের।তারাা অবহেলিত,বঞ্চিত, অনেকেই আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্বজন হারা ব্যাথা নিয়ে কাটছে অনেকের জীবন। গ্রামার্দ্দন গ্রামের আহম্মেদ মিয়া(৫০) স্ত্রী,সন্তান হারিয়ে সে এখনো দিশেহারা। বৃহাস্পতিবার তার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।তিনি বলেন,‘পনের নভেম্বরের ভয়াল তান্ডবে আমার আপনজনরা চলে গেছেন। আপন বলতে পরিবারে আর তেমন কেউ বেঁচে নেই,দু:সহ যন্ত্রনা ও চরম কস্টের মধ্যে কাটাচ্ছি জীবন।’সোনাবরু বেগম(৫০) বলেন,‘ছেলে বউ,নাতি,নাতিনীর স্মৃতি সে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না।আজও তাকে তাড়া করে বেড়ায়।
সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ অনেকে এখনো বিধ্বস্থ ঘড় বাড়িতে কোন মতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে আছে। ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও যে সব আবাসন নির্মান হয়েছে তাও অপরিকল্পিত। নতুন নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্র গুলো মানুষের এখন বড় আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিডরের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার ক্ষয়ক্ষতি হয়ত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়,তবে এখানকার জনগোষ্ঠিকে ঘুরে দাঁড়াতে দীর্ঘ মেয়াদী সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এ দিকে সিডরকে স্মরন করার জন্য বেতাগী প্রেসক্লাব আজ কালোব্যাজ ধারন,শোভা যাএা,সাপ্তাহিক বিষখালী কার্যালয় আলোচনা সভা ও ভিডিও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।