আজহারুল হক, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের গফরগাওয়ে একটি মৎস্য খামারের মালিক দূর্বৃত্তদের হাত থেকে খামারটিকে রক্ষার জন্য গত কয়েকদিন যাবত প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। মৎস্য খামারের মালিক ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের মার্চ মাসে ময়মনসিংহ আদালতে বিবিধ মামলা দায়ের করে তা সূরক্ষার ডিক্রি পান। আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরেও দূর্বৃত্তরা খামার মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মৎস্য খামার দখলের ঘোষনা করে। ভুক্তভোগী মৎস খামার মালিক এ অবস্থায় মঙ্গলবার খামারটি রক্ষার্থে গফরগাঁও থানা পুলিশের শরনাপন্ন হয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার যশরা ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি সদস্য হেকমত আলী গত ২০০৭ সালে একই ইউনিয়নের খারুয়া বড়াইল মৌজায় ২৬৫ কাঠা জমি বছর মেয়াদে মাছ চাষের জন্য ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তি নামার মাধ্যমে গ্রহণ করেন। গুরুতে বিল্লাল হোসেন নামের একজন অংশীদার হন। পরে জনৈক বিল্লাল হোসেন তার অংশীদারিত্ব অপর এক চুক্তি নামায় হেকমত আলীর কাছে বিক্রি করে দেন। হেকমত আলীর একক মালিকানাধীন নিরাপদ মৎস খামারে নিজস্ব পুজি ও ব্যাংক লোনসহ প্রায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। বর্তমানে মাছের খামারটি লাভের মুখে পড়তেই সংশ্লিষ্ট এলাকার কিছু দূর্বৃত্ত খামারটির ক্ষতি সাধনে লিপ্ত হয়। সম্প্রতি দূর্বৃত্তরা রাতের আধারে খামারের মাছ লুট শেষে স্থাপনা ক্ষতি গ্রস্তের ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন খামার মালিক। গত কদিন ধরে ৭/৮ জনের একটি দল হেকমত আলীকে তার মৎস্য খামারে যেতে দিচ্ছে না। খামার মালিক হেকমত আলী এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ প্রশাসনের শরনাপন্ন হন।
এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছাবুর রহমান বলেন, আদালতের রায় থাকার পরেও একটি সন্ত্রাসী দল হেকমত আলীর মৎস্য খামার দখল ও ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।