মঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ব্রিজ উদ্বোধনের ৩ মাস পরও সুফল থেকে বঞ্চিত মুরাদনগর এলাকাবাসী : জনদূর্ভোগ চরমে

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৫, ২০১৩ ২:৪৪ অপরাহ্ণ

VVVVVVV 048[1]মো. আমির হোসেন আমু, দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : কুমিল্লার মুরাদনগরের ভিটি পাঁচ পুকুরিয়া-মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটির নির্মাণকাজ ৩ মাস আগে শেষ হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও উদাসীনতায় আজও ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠেনি। ফলে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বিঘœ ঘটায় জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের মাঝামাঝি সময়ে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘব করতে ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষে ৩ মাস আগে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন আল রশিদ ব্রিজটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজের গোড়ায় মাটি না দেওয়ায় লোকজনসহ যানবাহনের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগরে ভিটি পাঁচপুকুরিয়া ইছা খালের উপর এলজিইডি প্রায় ৪লাখ টাকা ব্যয়ে ওই ব্রিজটির নির্মাণ করে। কাজ গত ৩ মাস পূর্বে শেষ হলেও এপ্রোচ সড়ক তৈরি না হওয়ায় ব্রিজটি এখনও চলাচলের অনুপযোগী।  ঠিকাদার ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এপ্রোচ সড়কটিতে মাটি না থাকায় সাইকেল, রিকশা ও মটরচালিত কোন যানবাহন চলাচল করা তো দূরের কথা, মানুষকে পায়ে হেঁটে ব্রিজ পার হতে হয় চরম ঝুঁকি নিয়ে। প্রতি বছর বর্ষাকালে এপ্রোচ সড়কটি ৬ মাস পানির নিচে ডুবে থাকলে কয়েক হাজার মানুষ ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে নৌকাযোগে এ খাল পার হতে হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হক জানান, ব্রিজটি চলাচল উপযোগী না হওয়ায় উপজেলার বালুয়াসুনা, চৌহদ্দি, পাঁচপুকুরিয়া, পাহাড়পুরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষকে ৩ কি.মি ঘুরে মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ যেতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজের গোড়া থেকে মূল সড়ক পর্যন্ত অন্তত: ২০ ফুট উঁচু করে মাটি ভরাট করলে এটি চলাচল উপযোগী হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী জানান, কিছু দিন আগে এপ্রোচ সড়কটি তৈরির জন্য টেন্ডার হয়েছে। তবে মাটি না পাওয়ায় এপ্রোচ সড়কটি নির্মাণ সম্ভব হয়ে উঠেনি। অতি শীঘ্রই এপ্রোচ সড়ক নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!