ঝালকাঠি সংবাদদাতা : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষা সামনে রেখে ঝালকাঠিতে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে জমজমাট প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য। দীর্ঘ দিন ধরে গরিব, অসহায় ও নিরীহ অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের কতিপয় অসাধূ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওই কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে আসছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সহায়তায় এরা অবৈধ উপায়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। তাই বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রাইভেট ও কোচিংবানিজ্যে লিপ্ত থাকা শিক্ষকদের নামের তালিকাসহ লিখিতভাবে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা।
অভিযোগে ওই সকল শিক্ষকদের পরীক্ষার সময় ও পরে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, শিক্ষকরা তাদের বাসা ও বিভিন্ন স্থানে সাইবোর্ড ঝুলিয়ে প্রাইভেট এবং কোচিং বানিজ্য করে আসছে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, বিষয়টি উপজেলা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তের রিপোর্ট যাই হোক ওইসব শিক্ষকদের এবার সমাপনী পরীক্ষার কোন দায়িত্ব দেয়া হবেনা। কারন বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। ঝালকাঠি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ জানান, এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে এদের বিরত রাখা হবে। তবে শীঘ্রই লিখিতভাবে ওই সিদ্ধান্তের কথা ওই শিক্ষকদের জানানো হবে।
