মো. মহসিন মাতুব্বর আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার আমতলীতে প্রবল বর্ষণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ভরা আমন মৌসুমে ক্ষেতের ধান নষ্ট হওয়ার ভয়ে কৃষকদের রাতের ঘুম আবার হারাম হয়ে গেছে। মহাসেনের পর বীজ সঙ্কটে অনেকইে আমন রোপন করতে পারেনি। আবার অনেকে কষ্ট করে বীজ সংগ্রহ করে আমনের ক্ষেত রোপন করলেও বর্তমানে টানা বর্ষনের কারনে রোপনকৃত আমন ধানের ক্ষেত আবার পানিতে তলিয়ে গেছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে বর্ষন আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল উপকূলে ভারী বর্ষণ ৩ নং সতর্ক সংকেত
উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা বরগুনার ও এর আশপাশে হালকা থেকে ভারী বর্ষণ অব্যহত রয়েছে। সাগরে বায়ুর চাপ তারতম্যে গভীর সঞ্চানলশীল বজ্রমেঘ সৃষ্টি হওয়ায় উপকূল ঝড়-বৃষ্টির সম্মুখিন। সাগর উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ তিনটি সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যšত মাছ ধরা সকল নৌকা ট্রলারসমুহকে উপকূলের কাছাকছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে। আবহাওয়া বিভাগ সুত্র জানিয়েছে, শনিবার মৌসুমী বায়ু প্রবল হওয়ায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর পশ্চিমে সরে এসে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এটি বঙ্গোপসাগরের মুল মৌসুমী বায়ু প্রবাহের সাথে মিশে যাওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাত থেকে আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ধারা আরও দু একদিন অব্যহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ফকিরহাট মৎস্য ট্র্রলার মালিক সমিতি সভাপতি মো.খলিলুর রহমান ফরাজী জানিয়েছেন, অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে ফিরে নিরাপদ আশ্রয় নিতে শুরু করেরেছ। তবে এখনও অনেক ট্রলার সাগরে অবস্থান করছে।
আমতলী উপজেলা রেড-ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান জানান, উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার হলদিয়া. চাওড়া, গুলিশাখালী, কুকুয়া , আমতলী সদর, বড়বগী ছোটবগী, নিশানবাড়ীয়া, সোনাকাটাসহ নিম্নঞ্চলের রাস্তাঘাট খাল বিল পানিতে তলিয়ে গেছে।কলাপাড়া আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ প্রদিপ কুমার জানানএ পর্যন্ত ২শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থা আরো ২/১ দিন থাকতে পারে বলে তিনি জানান।