শ্যামলবাংলা ডেস্ক : যমুনা ও ধলেশ্বরীর তীব্র ভাঙনে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলার কয়েক হাজার একর আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া দু’সপ্তাহের মধ্যে বিলীন হয়েছে স্ব-স্ব এলাকার শতশত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি হাটবাজার। এছাড়া বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসাও হুমকির মধ্যে পড়েছে। বসতভিটা হারিয়ে এখন মানবেতর দিন কাটাচ্ছে এসব পরিবারের লোকজন।
ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, এ বছর পানি বাড়ার সাথে সঙ্গে সঙ্গে দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়ার, বাচামারা, চরকাটারী, খলসী ও জিয়নপুর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামে তীব্র নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর, বাসাইল, মুন্সীকান্দি, জোতকাশি, বেপারীপাড়া, ফকিরপাড়া ও রাহাদপুর, বাচামারা ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা, হাজীপাড়া, কাচারীপাড়া ও উত্তরখন্ড-বাচামারা, চরকাটারী ইউনিয়নের ওহেল আলীরপাড়া, গোবিন্দপুর, নকের আলী মাদবরপাড়া, বাঢ়পাড়া ও মন্ডলপাড়া, জিয়নপুর ইউনিয়নের বরটিয়া, আমতলী ও বৈন্্যা অত্যধিক ভাঙনপ্রবণ এলাকা। এছাড়া ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর বাজার, কুস্তা, বেগুননার্সি ও সিংজুরী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অভিযোগ করেছেন তাদের পাশে কোনো জনপ্রতিনিধি ও সরকারের লোকজন আসেনি। দেওয়া হয়নি কোনো সাহায্যও। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম জানান, উপজেলার নদীভাঙন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নাম ও ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
