শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিংসা, বিদ্বেষ ও নৈতিক অবক্ষয়ের ঊর্ধ্বে উঠে আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্বদানের জন্য স্কাউটদেরকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন। তিনি ৫ এপ্রিল শনিবার সকালে নবম বাংলাদেশ ও প্রথম সার্ক স্কাউট অর্গানাইজেশন (সানসো) স্কাউট জাম্বুরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ওই আহবান জানান। এসময় তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শিক্ষার আলোকে আলোকিত হয়ে স্কাউটিংয়ের সুমহান ব্রতকে তোমরা জীবনের সকল ক্ষেত্রে ধারণ করে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু, কিশোর ও যুবদের সৎ, চরিত্রবান, আত্মপ্রত্যয়ী ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্কাউট আন্দোলনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ স্কাউটস এ ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ অবদানের জন্য দেশে এবং বিদেশে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্কাউটের মূলমন্ত্রই হচ্ছে ‘সদা প্রস্তুত’। আমি আশা করবো, তোমরা এই মুলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়ন, শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য ‘সদা প্রস্তুত’ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমি জানি, দেশের সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় স্কাউট সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে থাকে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও শীতার্ত মানুষের সেবায় তোমাদের কার্যক্রম জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে বাংলাদেশ স্কাউটস এর সহযোগিতা নিয়ে নিয়মিত বিদ্যুৎক্যাম্প ও স্বাস্থ্যক্যাম্প পরিচালনার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জাম্বুরীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্কাউট সদস্যদের প্রদর্শিত বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে উপভোগ করেন। তিনি স্কাউটসদের বিভিন্ন তাঁবু এলাকা পরিদর্শন করেন। সপ্তাহব্যাপী এ জাম্বুরীতে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও ভুটানের প্রায় ৯ হাজার স্কাউট অংশগ্রহণ করছে।
গাজীপুরের মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্কাউটদের ওই জাম্বুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি আব্দুল করিম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার আবুল কালাম আজাদ ও জাম্বুরী সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়ন সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।
