যশোর প্রতিনিধি : যশোরে পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসীরা দু যুবককে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্বরা। চোরাচালানের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যশোর শহরের শংকরপুর চোপাদার পাড়া সাইফুল ইসলাম (৪০)কে জবাই করে এবং পূর্ব শত্রুতার কারনে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে মনিরামপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের আসাদুল ইসলাম (৪৫) খুন হয়েছে।
পুলিশ জানায়, যশোর শহরের শংকরপুর চোপদার পাড়ার মৃত জাহের মোড়লের পুত্র সাইফুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে বাড়ি হতে বের হয়। সে আর বাড়িতে ফেরেনি। শনিবার সকালে তার লাশ শংকরপুর মায়া ফিলিং ষ্টেশনের কাছে একটি ট্রাকের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
একটি সুত্র বলেছে, নিহত সাইফুল ইসলাম তার কথিত স্ত্রী রুপা খাতুনের টাকা নিয়ে চোরাচালানী ব্যবসা করতো। ব্যবসার এক পর্যায় সাইফুল ইসলাম রুপা ও তার সহযোগীদের নিকট ৩ লাখ টাকা পেত। উক্ত টাকা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকেলে সাইফুল ইসলাম বাড়ি হতে সাইকেল নিয়ে বের হয়। সে বাড়িতে না ফেরায় শনিবার সকালে উলেখিত স্থানে ট্রাকের মধ্যে জবাই করা মরদেহ ট্রাক শ্রমিক দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নিহত সাইফুল ইসলাম এক সময় শংকর পুরের হাসান মিজানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। তার বিরুদ্ধে উদীচী বোমা হামলা মামলায় চার্জশীট ভূক্ত ১৬ নং আসামী,সাইফুল ইসলাম মুকুল হত্যা, বাবলু হত্যা, লাউজানী ফোর মার্ডার সহ বহু অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। নিহত সাইফুল ইসলামের প্যান্টের পকেট হতে পুলিশ মানিব্যাগ উদ্ধার করে। যাতে সাইফুল ইসলামের ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র, রুপা তার স্ত্রী সেই পরিচয় পত্র উদ্ধার করে। সাইফুল ইসলাম হত্যাকান্ডর পর থেকে রুপার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালানোর পূর্বে রুপা দ্রুত সটকে পড়ে। রুপাসহ তার কথিত স্বামী রফিক, রবিউল ইসলাম যারা সাইফুল ইসলামের সাথে চোরাচালানী ব্যবসা করতো পুলিশ তাদেরকে খুঁজছে। তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছে।
অপর দিকে, শুক্রবার রাতে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা চাপাতলা গ্রামের জয়নুল আবেদীনের পুত্র দর্জি আসাদুল ইসলাম (৪৫) কে পূর্ব শত্রুতার কারনে ওই বাজারের নৈশ্যপ্রহরীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষ অবস্থায় রাতে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোর রাতে মারা যায়। সাইফুল ইসলাম ও আসাদুল ইসলাম হত্যাকান্ডর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসাদুল ইসলাম হত্যাকান্ডর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মনিরামপুর থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।