শাহ আলম ,টাঙ্গাইল : আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ৪র্থ পর্যায়ে ৯২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে কালিহাতীতে একক প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে সরকারী দল আওয়ামীলীগ ও ১৯ দলের জোট বিএনপি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের তারা সামলেতেই পারছে না। দুই দলের নিয়ন্ত্রন কর্তা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং কেন্দ্রিয় বিএনপি অন্যতম সদস্য লুৎফর রহমান মতিন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়,কালিহাতী উপজেলা ১৩টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভা এবং চর,ভর,পাহাড় মিলিয়ে গঠিত।এখানে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা-১০৭টি, ভোট কক্ষের সংখ্যা-৬৬৮,পুরুষ ভোটার-১৩৬৩৫৯ ও মহিলা ভোটার-১৪১৪৬৩ মোট ভোটার-২৭৭৮২২। উপজেলা নিবার্চনে ১জন চেয়ারম্যান ১জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারী দল ও ১৯ জোটের দলের প্রার্থীরা অনেক আগেবাগেই নিজেকে প্রার্থী হিসাবে প্রচার-প্রচারনা করে আসছিল।
উপজেলা সরকারীদল একক প্রার্থী দিতে বর্ধিত সভার আহব্বান করে সয়ং মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মাধ্যমে চেয়ারম্যান-মোজহারুল ইসলাম তালুকদার,ভাইস চেয়ারম্যান-আব্দুস মজিদ তোতা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-মনোয়ারা বেগমকে মনোনয়ন দেন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, ভাইস চেয়ারম্যান-ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান সিদ্দিকী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-সৈয়দা সালমা খাতুন মাঠে আছেন।
অপর দিকে উপজেলা বিএনপি এক বর্ধিত সভায় একক প্রার্থী হিসাবে শফিকুল ইসলাম তালুকদারকে চেয়ারম্যান, নজরুল ইসলাম শোভাকে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হাবিবা সোহরাব মনোনয়ন দেন। কিন্তু মনোনয়নের তোয়াক্কা না করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে শহদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে তোরে জুড়ে মাঠে নেমেছেন ভোটারের কাছে। তাছাড়াও একাধিক ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রাথী হবেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে।
এ দিকে জাপা সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন উপজেলা জাতীয় যুবসংহতির আহব্বায়ক মনিরুজ্জামান মতিন।
সকল প্রার্থীরা নিজেকে যোগ্য মনে করে ভোট প্রার্থনায় ব্যাস্ত। এখন ভোটাররা কাকে ভোট দিবেন দলীয় মনোনীত না বিদ্রোহী প্রার্থীদের ? আগামী ২৩ মার্চ প্রমান হবে ভোট কার বাক্্ের ভোট বেশী পড়ে। তবে ভোটারা ভোটের কথা ভেবে বেশ খুশ আমেজেই আছেন।