মো. ইউসুফ আলী মন্ডল, নকলা (শেরপুর) : জমে উঠেছে নকলা উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও নতুন করে সংগঠিত হতে এখন উপজেলা নির্বাচনে তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ বিগত নির্বাচনে সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামছে। ভোটারদের সাড়া জাগানোর জন্য প্রার্থী ও সমর্থকরা লিফলেট, ব্যানার, তোরণ নির্মান ও যানবাহনের প্রচার পত্র বিলি করে আর্কষণীয় করে তুলেছেন।
একটি ৩য় শ্রেণীর পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়নের ১ লাখ ৩৩ হাজার ভোটার নিয়ে নকলা উপজেলা গঠিত। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর মন জয় করতে এবার অনেক নেতা মাঠে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন । তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ মোঃ বোরহান উদ্দিন, সাবেক সফল চেয়ারম্যান হামির হামজা, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি শওকত হোসেন খান মুকুল, প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ, নুরে আলম সিদ্দিকী রাজু, মনির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, ১নং গণপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মোঃ শামছুর রহমান আবুল প্রার্থী হয়ে ভোটারের নিকট কুশল বিনিময়ন করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সকল প্রার্থী অপেক্ষায় রয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্তের। কেউ কেউ ব্যক্তিগত ইমেজে মাঠে কাজ করেছেন এদের মধ্যে আমির হামজা ১নং গণপদ্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ব্যাপক ভোটে চেয়ারম্যান হলে বাংলাদেশে ১০ ইউনিয়ন পরিষদকে ডিজিটাল হিসাবে গণ্য করা হয়। তার মধ্য গণপদ্দীকে ডিজিটাল হিসাবে গণ্য করা হয়। নির্বাচিত হয়ে সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে আলাদা ভূমিকা রাখার কারণে ৫ বার তিনি পুরস্কার প্রাপ্ত হন। তিনি রাষ্ট বি,বি,এস, (অনার্স) মাস্টার ডিগ্রী নিয়ে সমাজ সেবা উন্নয়ন ও মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। আ.লীগ সভাপতি গোলাম রব্বানী রাজনীতিতে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ মোঃ বোরহান উদ্দিন ভাল ব্যবহার দেখিয়ে এবং উন্নয়ন কাজে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর পাশে থেকে আলাদা গ্রহণযোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন। মনির হোসেন গতবার পৌরসভা মেয়র পদে নির্বাচন করে ২য় স্থান পেয়ে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেন। ছাত্রনেতা হিসাবে যুব সমাজে তার রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। এবার নকলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত ৩য় দফার নির্বাচন প্রার্থীদের চেয়ে অনেক দামী ও শিক্ষিত প্রার্থীরা মাঠে নিজ নিজ পরিচয়ে। বিএনপি’র মধ্যে দলীয় কাজের অমিল থাকলেও নির্বাচনে কাজে তারা পিছিয়ে নেই। সাবেক হুইপ আলহাজ্ব জাহেদ আলী চৌধুরীর সহোদর ভাই মোবাশ্বের আলী চৌধুরী টটুন, সাবেক বিএনপি’র উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বাদশা, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খোরশেদুর রহমান, কারাবন্দি বিএনপি’র নেতা মোকছেদুর শিবলু ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের একনিষ্ঠ নেতা এবারের ভোট যুদ্ধে মাঠে-ঘাটে কাজ করে যাচ্ছেন। তরুন সমাজ সেবক শ্রমিক বান্ধব নেতা সারোয়ার আলম তালুকদারের নাম দোকান পাট মাঠে -ঘাটে, হাট-বাজারে তার নাম বেশী শোনা যাচ্ছে। গত নির্বাচনে ২য় স্থান আ.লীগ প্রার্থী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রভাষক কামরুজ্জামান গেন্দু। দক্ষিণ অঞ্চলের প্রার্থী হিসাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামছুল হক ডিলার, প্রার্থী থানা ছাত্র দলের আহবায়ক রোবায়েত হোসেন ভোট প্রার্থনায় নেমেছেন। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা উম্মে কুলছুম রেনু, পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর আ.লীগের হুজেরা খাতুন, আ.লীগের খালেদা খানম, বিএনপি’র কহিনুর বেগম নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে নকলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ভিন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। অনেক আগে বাগেই প্রচার প্রচারণা শুরু হলেও প্রার্থীর রয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্তের আশায় । দলের সমর্থন আদায়ের জন্য সিনিয়ন নেতা-কর্মী ও কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট ধর্ণা দিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশ সরকারের সফল কৃষিমন্ত্রী, অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরীর নিকট যিনি প্রিয়ভাজন হবেন সেই আ.লীগের প্রার্থী হিসাবে এগিয়ে যাবেন বলে অনেক মত প্রদান করেছেন।
