আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি,: বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বস্তায় নির্ধারিত ওজনের কম সার থাকায় ব্যবসায়ী ও ডিলারদের মাথায় হাত। উপজেলার বাশাইল বাজারের লোকমান মোল্লা, ইউপি সদস্য সিদ্দিক মৃধা, বড়মগরার অসীম পান্ডে, গৈলা বাজারের মহিম এন্টারপ্রাইজ, রাশেদ এন্টারপ্রাইজ, রামেরবাজারের ফারুক মোল্লাসহ উপজেলার অন্যান্য সার ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সারের ব্যবসা করলেও বর্তমানে ৫০ কেজি ইউরিয়া সারের বস্তায় সার থাকে ৪৫-৪৬ কেজি।দিনদিন এই ক্ষতিপূরণ দেয়ায় গুণতে হচ্ছে লোকসানের হার। সার ডিলাররা জানান, বস্তায় সার কম হওয়ায় বর্তমানে এই ব্যবসার ক্ষতির কারণে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। আমরা বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনের কাছ থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালাতে হয়। কিন্তু সার বস্তায় কম হওয়ায় লোকসান গুণতে হয় আমাদের। ঠিকমত ফলে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছিনা। এছাড়াও বস্তায় সার কম হওয়ায় কারণে চাষীরা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি অফিসার দিলীপ কর্মকার জানান, বস্তা প্রতি ১ কেজি করে সার কম হতে পারে। তবে সার কম হওয়ার বিষয়টি কোম্পানী ও ব্যবসায়ীদের। এব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।
