আজম রেহমান : ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল রাউৎনগর কুলিক নদীর ঘাটে বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৫ গ্রামের মানুষ পারাপার হচ্ছে। বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে রিক্সা ভ্যান মটর সাইকেল নিয়ে ঝুঁকিতে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে হাজার মানুষ। ব্রীজ নির্মানসহ জনবহুল রসুলপুর-সালবাড়ি রাস্তা মেরামত নির্বাচনী সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে নির্বাচন প্রত্যাশিরা। ঠাকুরগাও-৩ আসনের সাংসদ এমপি হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ ব্রীজটি নির্র্মানসহ উপজেলার ব্যস্ততম রাস্তা রসুলপুর, বিরাশি হয়ে উমরাডাঙ্গী সালবাড়ির রাস্তাটি পাকা করনের প্রতিশ্রুতি অনেকবার দিলেও অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে ব্রীজ নির্মান ও রাস্তা মেরামতের কাজ। ইতিমধ্যে নদী ভাঙ্গনে রাউৎনগর ঘাটের পাড় ভেঙ্গে ব্যস্ততম রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কৃষিভিত্তিক এলাকা পাওয়ার টিলার, গরু গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষিকাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে এলাকাবাসি জানায়।
জানা যায়, কুলিক নদীটি ভারতের রায়গঞ্জ জেলার সহাচী মোড় নামক জায়গায় নাগর নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের আমলে এমপি হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ’র সাংসদীয় কার্যক্রমের ফসল হিসেবে রাউৎনগর ঘাটের উপর ব্রিজ নির্মান করা হয়। ১৯৮৭ সালের বন্যায় ব্রিজটি ভেঙ্গে এলাকাবাসির দুর্ভোগের জ্বলন্ত স্বাক্ষী হিসেবে তা আজো জীবন্ত কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে। পরবর্তী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ব্রিজ নির্মানসহ প্রস্তাবিত রাস্তার মেরামতের কাজ। কোন অগ্রগতি হয়নি কাজের। অল্প বৃষ্টিতেই এখানকার এলাকাবাসীর দূর্ভোগের শেষ তাকেনা। এব্যাপারে এমপি হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ জানান, এটি প্রকল্পভ‚ক্ত হয়েছে যথাসময়ে নির্মান কাজ শুরু হবে।