মাহফুজার রহমান মনু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : কার্তিক মাস শেষ হওয়ার পর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গ্রাম-গঞ্জের ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের আমেজ। এ সময় কৃষকেরা ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। রাজারহাট উপজেলার সদর সহ প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজারগুলোতে চালের বাজার অস্থিতর হয়ে উঠায় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র লোকজন ও বেসরকারী অল্প বেতনের ও মধ্য বিত্ত লোকজন চাল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা যায়, রাজারহাট উপজেলায় গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে প্রত্যন্ত এলাকায় চালের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ছয় টাকা। সবচেয়ে নিম্নমানের মোটা চাল বাজারে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা আর চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা কেজি। যা দু’সপ্তাহে আগে প্রতি কেজি ৫ থেকে ৬টাকা কম ছিল। তাছাড়া মিনিকেটসহ একটু ভাল মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। চালের পাশা-পাশি সব ধরনের ডালের দামও বেড়েছে অনেক গুণ। কয়েক দিনের ব্যবধানে মুগ ও মুসুড় ডালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি দরে বেড়েছে। রাজারহাট উপজেলা সদর সহ নাজিমখাঁ, সিংগারডাবড়ী, ফরকের হাটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারের পাশাপাশি পাইকারি বাজারেরও চালের দাম চড়া। মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ক্ষুদে দোকানীরা জানান, পাইকারী চাল বিক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে বেশি চড়া দামে নিচ্ছেন। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারী বিক্রেতারা জানান, আমাদেরকে মোকামগুলোতে বেশি দামে চাল কিনতে হয়। তাছাড়া চাতাল মালিক থেকে ও অন্যান্য জায়গায় থেকে চাল তুলনায় কম আসায় এবং সরবরাহ কম থাকায় পাইকারী বাজার এবং খুচরা বাজারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সরকারের এক ঘিয়ামির ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেড়ে যাওয়ায় এ দূর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। ব্যবসায়ীরা জানান, হরতালের কারণ, পরিবহন ধর্মঘট, বিদ্যুতের দাম বাজাড়ায় উৎপাদনের খরচে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। এসব সরবরাহ কমায় সব জিনিসের দামে প্রভাব পড়েছে। গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে মুগ, মুসুড় ডাল ও চালসহ কেজিতে ৫ থেকে ৭ ও ১০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বেড়েছে। তাই চালসহ অন্যান্য নিত্যপন্যের দাম চরম ভাবে বেড়ে যাওয়ায় মধ্য বিত্ত ও সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
