জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যাদের ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নেই, তারাও আজ সংবিধান নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলছেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এত সংবিধান বুঝেন, তবে সাংবিধানিক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় কেন? তিনি ১৫ নবেম্বর শুক্রবার বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পাবলিক হল অডিটরিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত অনুদানের চেক এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঢেউটিন বিতরণকালে ওইসব কথা বলেন।
তিনি মন্ত্রীসভার সদস্যদের পদত্যাগ নিয়ে বিরোধী দলের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, যে কোন মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র দেওয়ার পরে আরেকটি কাজ থাকে, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া। সেটা যখন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিবেন, তা গৃহীত হওয়ার পরই মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে যাবে। পরবর্তীতে যাদেরকে নিয়ে মন্ত্রীসভা পূর্ণগঠন করবেন, তাদের নিয়ে তিনি (রাষ্ট্রপতি) দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করবেন। তারা মন্ত্রীর সুযোগ-সুবিধা পাবেন। কিন্তু মন্ত্রী যদি নির্বাচনে অংশ নেন, তবে তিনি মন্ত্রীর সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। এটাই হলো সাংবিধানিক নিয়ম। কিন্তু আমরা অসাংবিধানিক সরকারের কার্যত্রম দেখতে অভ্যস্ত বলেই সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি আমরা ভুলে যাই।
কৃষিমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে বলেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন, তারা যখন আমাদের উপদেশ দেন, তখন আর কী বলার থাকে?
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ইউনুসকে তিনি মাথায় তুলে রাখবেন বলে ওয়াদা করেছেন। হেফাজত আর জামায়াতের মত দুই খুনী পার্টি আর সুদখোরকে নিয়ে তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তার এ স্বপ্ন সফল হবে না।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র হুমায়ন কবীর রুমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম উকিল, সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান লেবু প্রমুখ।
এসময় মন্ত্রী নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৫৬ বান্ডেল ঢেউটিন, ৩ হাজার করে টাকা, এবং শুধুমাত্র অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পৃথকভাবে ৪ হাজার ও ৬টি ক্লাবকে ৫ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন।
