মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে এক সন্তানের জননীর বগলের টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে পেট কাটলেন চিকিৎসক। রোববার সকালে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ১১ নভেম্বর সোমবার এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,৫ নভেম্বর মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের শ্মাসন গ্রামের বিলাল হোসেনের স্ত্রী আইরিন বেগম (২৫) এর দুই বগলে দুটি টিউমার অপারেশন করতে হাসপাতালে ভর্ত্তি হন। ১০ নভেম্বর সকাল ৯ টায় টিউমার অপারেশনের সময় দেন কর্তৃপক্ষ। অপারেশন সিরিয়ালের দ্বিতীয় রোগী ছিলেন আইরিন। প্রথম রোগী কমলগঞ্জের সুধা রানী কর। সার্জারি চিকিৎসক সুব্রত কুমার রায় ও তার সহযোগীরা অ্যানেথেশিয়া শেষে বগলের টিউমার অপারেশন না করে পিত্তথলিতে অস্ত্রোপাচার করেন। অপারেশন শেষে রোগীর স্বামীর কাছে তিনটি পাথর দেওয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে আইরিনের জ্ঞান ফেরার পর তার বুকের নিচে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে তিনি বুঝতে পারেন টিউমার অপারেশন না করে পেট অপারেশন করা হয়েছে। এরপর রোগীর সাথে থাকা লোকজন তত্বাবধায়ক ডা. দীনেশ সুত্রধরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে দুশ্চিন্তা না করতে বলেন। কর্তৃপক্ষ রোগীর অনেক কাগজপত্র গায়েব করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপারেশনে ডা. সুব্রত রায়ের দুই সহযোগী ছিলেন ডা. ইশতিয়াক আহমদ ও ডা. শাহজাদা।
এ ঘটনা ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ডা. সাখাওয়াত হোসেন ও ডা. আবু বকর মোস্তফা। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তত্বাবধায়ক।
সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক দীনেশ সুত্রধর ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে জানান,তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।