পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘর দোকানপাটে লুটপাট, ভাংচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনার ৮দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পুলিশ ২টি মামালার এজাহারভূক্ত ৬৩ জন নামীয় আসামীর মধ্যে মাত্র ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে : জনি, মিলন, রেজাউল এবং আলমগীর।
এদিকে আসামীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে পুলিশ সুপারসহ উর্ধতন পুলিশ অফিসারদের অপসারণের জন্য উর্ধতন কর্তপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাবনা জেলা ১৪ দল। উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য রবিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে নির্দেশ দেন সেটিও কার্যকর হয়নি। উক্ত আদেশে পুলিশের মহাপরিদর্শক, পাবনার এসপি ও পাবনার সাঁথিয়া থানার ওসিকে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৭২ ঘন্টার মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত নির্দেশের সময় সীমাও অনেক আগেই অতিক্রম করেছে।
এ নিয়ে উৎসুক জনতা সাংবাদিকদের নানা প্রশ্ন করছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন, মামলার আসামীরা মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন হিন্দু বাসিন্দা। হিন্দু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলছেন না। আজও হিন্দু পরিবারে শিশু ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাচ্ছে না। আতাইকুলা থানায় উক্ত ঘটনায় ৩ টি মামলা দায়ের হয়। বনগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাবুল চন্দ্র সাহা কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার ২০ জন নামীয় আসামীর মধ্যে ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। আতাইকুলা থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, গ্রেফতার করা হয়েছে মিলন, জনি, আলমগীর ও রেজাউলকে। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি ডিবি’র উপর দেয়া হয়েছে। এদিকে এদিকে বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে শনিবার পাবনা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন পরিষদ পাবনা জেলা শাখা। পরে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী চন্দন চক্রবর্ত্তী, সাধারন সম্পাদক বিনয় জ্যোতিকুন্ডু, সাংবাদিক নরেশ মধু, প্রলয় চাকী, প্রবীর সাহা, দেবাশীষ দে, বাদল ঘোষ, বিশ্বজিৎ ঘোষ, সৌমেন সাহা ভানু, কৃষ্ণা চক্রবর্ত্তী, ফিলিপ সমদ্দার খোকন, জয়দেব কুন্ডু প্রমুখ। সমাবেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় ৩ শতাধিক নারী –পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।