ads

শনিবার , ৯ নভেম্বর ২০১৩ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

নওগাঁর মহাদেবপুরে কলাচাষে স্বাবলম্বী সহস্রাধিক কৃষক পরিবার

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৯, ২০১৩ ৪:০২ অপরাহ্ণ

Mohadevpur Picture_05-10-2013এম.এ ছালাম, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : কলাচাষে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় নওগাঁর মহাদেবপুরের কৃষকরা এখন কলাচাষে ঝুঁকেছেন। সারি সারি বাগান থেকে কলা বিক্রি করে প্রচুর টাকার মুখ দেখছেন চাষীরা। বাজারে উচ্চমূল্য এবং ব্যাপক চাহিদার কারণে বাগানের কলা নিয়ে সামান্যতম দুশ্চিন্তাও করতে হয়না কৃষকদের। বাগানে চাষ আবার বাগানে বসেই বিক্রি। ক্রেতারা বাগানে বাগানে ঘুরে কলা ক্রয় করে নিয়ে আসেন। অনেক ক্রেতা আবার বাগানের সমুদয় কলা আগাম ক্রয় করে রাখেন।
এ ফসল চাষ করে যেখানে বাজারমূল্য ও বিক্রি নিয়ে নেই কোন দুশ্চিন্তা সেখানে কৃষকদের ঝুঁকে পড়াটাই স্বাভাবিক। কোন দুশ্চিন্তা ছাড়াই স্বল্প খরচ ও নামমাত্র পরিশ্রমে বেশী লাভের দেখা পাওয়ায় উপজেলার সহস্রাধিক কৃষক তাদের তুলনামূলক উঁচু জমিগুলোকে পরিকল্পিতভাবে তৈরী করছেন কলাচাষের ক্ষেত। আর এ ক্ষেত থেকে কৃষক প্রতিদিনই বিক্রি করছেন ক্যানে ক্যানে কলা আর পকেটে ভরছেন বাড়তি টাকা। এভাবে কলাচাষী পরিবারগুলোতে বিরাজ করছে স্বচ্ছল অবস্থা। তাদের দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন কলাচাষের। কলার বাজারমূল্য এবং চাহিদা এরকমই থাকলে শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলায় নিকট ভবিষ্যতে কলাচাষেও বিপ্লব ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সফলতার মুখ দেখা এনায়েতপুরের কৃষক হাফিজুর রহমান, ইন্দাইয়ের আ. সালাম, শেরপুরের শামীম, কার্লনার মোস্তাফিজুর রহমান, বুজরকান্তপুরের আ. কুদ্দুস ও মহিনগরের হারুন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে কলাচাষ করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার খরচ হয়। ওই জমির কলা বিক্রি করে খরচ বাদে লাভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তারা জানান, কলা বিক্রির জন্য হাটবাজারেও যেতে হয়না। ক্রেতারা বাগান থেকেই ক্রয় করে নিয়ে যান। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আ. মোমিন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সারিবদ্ধভাবে ৩শ ৯০ থেকে ৪শ ২০টি কলাগাছ রোপন করা যায়। রোপনের পর থেকে কৃষক ওই বাগান থেকে একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত কলা বিক্রি করতে পারেন। রোপনকালীন ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচের পর থেকে পরবর্তী বছরগুলোতে বাগানের যত্ন ছাড়া কৃষকের আর তেমন খরচ হয়না। বাগানের কলা বিক্রির পাশাপাশি একই বাগান থেকে কৃষক কলার চারাগাছ বিক্রি করেও ভাল আয় করেন বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আ. মোমিন জানান। বাগানের প্রতিটি চারাগাছ ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে এখানে ১ হাজার ২শ বিঘা জমিতে কলাবাগান রয়েছে। তবে ক্রমেই কলাবাগানের সংখ্যা বাড়ছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!