সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) : নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮দলীয় জোটের ডাকা ৬০ঘন্টা হরতালের প্রথম দিনে বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন্ এলাকায় ব্যাপক গাড়ী ভাংচুর, টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং, বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যে দিয়ে হরতাল পালিত হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ এক জামায়াত নেতাকে আটক করেছে। ২৭ অক্টোবর রবিবার ভোর ৪টায় বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮দলীয় জোটের নেতারা বিভিন্ন স্পটে নেতাকর্মীদের পিকেটিং করার জন্য সেট করে দেয়। উপজেলার রহমতপুর-বাবুগঞ্জ সড়কের স্টীল ব্রীজ, বটতলা আন্দিরপার, বকুলতলায় টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান শিমুল সিকদারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ওই সময় বিক্ষোভকারীরা একটি মাহিন্দাসহ ৪/৫টি গাড়ী ভাংচুর করে।পরে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্যে রাখেন বিএনপির যগ্মœ সম্পাদক আঃ করিম হাওলাদার,বাবুল আমীন,যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান জেহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান টুলু,মাহাবুব হোসেন, মনোয়ার হোসেন , শিবির নেতা ফরিদ হোসেন প্রমুখ।
মীরগঞ্জ বাজারে হরতাল সমর্থনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।মিছিল শেষে বিএনপির নেতা জামাল হোসেন পুতুলের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, বজলুর রহমান, তোফাজ্জেল হোসেন তোতা, হেমাঙ্গীর, বাবুল সরদার,আঃ লতিফ, সেলিম হাজী,ইউসিুব সরদার,মামুন,ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। মাধবপাশা বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে ১৮দলীয় জোটের উদ্যোগে ও ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দিন খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ওইসময় মিছিলকারীরা মাহিন্দা সহ ৪/৫টি গাড়ী ভাংচুর করে এবং পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।পরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্যে রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইসরত হোসেন কচি তালুকদার,আলমগীর হোসেন স্বপন, মাহাবুব হোসেন তালুকদার, মাসুদ মোল্লা,ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দিন খান, নাসির উদ্দিন মধু, কাজী মহসীন, জামায়াত নেতা জহিরউদ্দিন মাস্টার, আঃ করিম সরদার, মনির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রানা।বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সাতমাইল নামক স্থানে ছাত্রদল নেতা সবুজ আকনের নেতৃত্বে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। চাঁদপাশা এলাকায় হরতালে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
অপর দিকে বিমানবন্দর থানা পূলিশ হরতাল চলাকালে মাধবপাশা বাজার থেকে মেহেদী হাসান হানিফ নামে এক জামায়াত নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউল্লাহ আদালতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫শত টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয় তাকে।