
শ্যামলবাংলা ডেস্ক :
২০১৮ সাল নাগাদ মঙ্গল গ্রহে মানুষের যাত্রা সুচারু, ফলপ্রশু ও সৃজনশীল করতে এর প্রকৌশল নকশা প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
যুক্ত রাস্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোয় গত ১৫ জূলাই –- ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত মার্স সোসাইটির ১৬তম বার্ষিক কনফারেন্সে এ প্রতিযোগিতার ঘোষণা করা হয়। এত বিশ্বের সকল দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রকৌশলবিদ্যার শিার্থীদের অংশ গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।

মাত্র কয়েক মাস আগে এ প্রতিযোগিতাটির ঘোষণা দেন ’মার্স সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক ও পৃথিবির প্রথম মহাশূণ্য পর্যটক মার্কিন প্রকৌশলী ও বিশিষ্টি ধনকুবের একই ব্যাক্তি যিনি ডেনিস টিটো। এ ঘোষণায় বলা হয় ২০১৮ সালে মঙ্গল গ্রহ অভিমুখে মানুষ্যবাহি নভোযান পৌঁছানো হবে। উল্লেখ্য, এ অভিযানে একজন পুরুষ ও একজন নারী অভিযাত্রী থাকার পরিকল্পনা রয়েছে। সাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মেধাবীদের স¤পৃক্ত করতেই এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য।
মার্স সোসাইটি ঘোর্ষিত এ প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করতে হবে। অংশ গ্রহণকারী দলকে এ ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে যে, ২০১৮ সালে সমন্বিত ’মার্স ফাইবাই’ এর প্রকৌশল নকশা তৈরি করতে হবে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিার্থীদের নিয়ে দল গঠন করা যাবে। দলে সাবেক শিাথী এবং শিকও অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন । তবে নিয়মিত শিার্থীর সংখ্যা দলে বেশি থাকার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং দলের নেতৃত্বও থাকবে নিয়মিত শিার্থীর উপর।
প্রণিতব্য এ নকশায় যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে তা হলো স্বল্প ব্যয়, গুনগতমান, নিশ্চিত নিাপত্তার ব্যবস্থা, সহজ কার্যপ্রণালী ও যথাসময়ে নভোযান উৎপেন। যারা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন তাদের ২০১৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মার্স সোসাইটির কাছে তাদের নকশা পৌঁছাতে হবে। প্রাপ্ত নকশাগুলোর মধ্যে প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন করে ১০টি দলের নকশা ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে নাসার আমেস রিচার্স সেন্টারে বিচারকগণের মাঝে দাখিল করা হবে। বিচারক দলে থাকবেন নাসা, মার্স সোসাইটি এবং ইন্সপিরেশন মার্স ফাউন্ডেশনের দু’জন করে প্রতিনিধি। চূড়ান্ত বিজয়ীদের মাঝে আর্থিক পুরস্কার ছাড়াও থাকবে মার্স সোসাইটির ২০১৪ সালের বার্ষিক সম্মেলনে বিনা খরচে অংশগ্রহণের সুযোগ। চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত দল ছাড়াও আরো ৪টি দল নির্বাচন করা হবে যাদের জন্য রয়েছে আর্থিক পুরস্কার। মার্স সোসাইটর কাছে জমা দেয়া সকল দলের প্রকৌশল নকশা ’ইন্সপিরেশন মার্স ফাউন্ডেশনে প্রকাশের ব্যবস্থা থাকবে।
