তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা বিএনপির অগোচরে সাবেক সভাপতি ও সাংসদ হাবিবুল ইসলামের আহবানে খুলনায় গোপন বৈঠকে জনমত উপেক্ষা করে অরাজনৈতিক প্রার্থী অধ্যাপক কামরুল ইসলামকে মনোনীত করায় তৃণমূলে ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনোনীত করার জন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সাবেক ঐ সাংসদের আহবানে খুলনার বয়রায় বসবাসরত এক কলেজ শিক্ষকের বাসায় গোপন বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামসহ ১২ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সম্পাদক ও অঙ্গ সংঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঐ বৈঠকে তালা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বদরুজ্জামান মোড়ল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ নেতৃবৃন্দের সমর্থন শেখ গোলাম মোস্তফার পক্ষে হওয়ায় বৈঠকের আহবানকারী সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম জনমত এবং দলীয় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বিএনপির চেয়ারপার্সনের নাম ভাঙ্গিয়ে অরাজনৈতিক ব্যক্তি অবসর প্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক কামরুল ইসলাম বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন। ঘোষনার পর পরই বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ প্রত্যাখ্যান করে চলে যান। বৈঠকে অধ্যাপক কামরুল ইসলামের মনোনীত করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ব্যপারে বৈঠক আহবানকারী ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনীত করা হয়েছে। জনমত জরীপের জন্য প্রাথমিক ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দেখা যাক কি হয়। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি রহমত উল্লাহ পলাশ এর সাথে আলাপ হলে তিনি খুলনার গোপন বৈঠকের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে দলীয় ফোরামেই বৈঠক বা সভা আহবান করতে হবে। প্রার্থী মনোনয়ন বিষয়ে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তিনি দলীয় হাইকমান্ডকে অবহিত করবেন বলে জানান।