শ্যামলবাংলা স্পোর্টস : ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পরিচালনা, প্রতিযোগিতা ও অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে প্রভাবশালী ৩ বোর্ডের সংশোধিত প্রস্তাব পাস হয়েছে। শনিবার সিঙ্গাপুরে আইসিসির বোর্ড সভায় ৩ ‘মোড়লের’ ওই প্রস্তাব অনুমোদন পায় বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে ক্রিকইনফো জানায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ (বিসিবি) আইসিসির পূর্ণ সদস্য ৮টি দেশের ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। সভায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন চলতি বছরের জুলাই থেকে আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। একই সময়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চেয়ারম্যান ওয়ালি এডওয়ার্ডস আইসিসির নতুন কঠিত নির্বাহী কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নেবেন। এই কমিটি আইসিসি বোর্ডের কাছে জবাবদিহি করবে। আর ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্ক হবেন আইসিসির অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির প্রধান।
তারা আগামী ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে অন্তর্র্বতীকালীন দায়িত্বে থাকবেন। অন্তর্র্বতী সময় শেষে আইসিসির বোর্ডে থাকা পূর্ণ সদস্য পরিচালকদের মধ্য থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের পদ পূরণ করা হবে এবং বোর্ডে থাকা পূর্ণ সদস্য পরিচালকদের সবাই নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। বিসিসিআই, সিএ ও ইসিবি আইসিসির উপ-কমিটিতে থাকবে। তাদের সঙ্গে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের মধ্য থেকে নির্বাচিত দুটি বোর্ডও উপ-কমিটিতে থাকবে।
সভায় আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার উপায় নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে অংশ নেবে। এই টুর্নামেন্টে বিজয়ী দল টেস্ট র্যাংকিংয়ের তলানিতে থাকা দলের সঙ্গে প্লে-অফ ম্যাচ খেলবে। এই প্লে-অফ ম্যাচে বিজয়ী হতে পারলে আইসিসির সহযোগী সদস্য ওই দেশ টেস্ট মর্যাদা পাবে। টেস্ট র্যাংকিংয়ে এখন বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।
প্রসঙ্গত, আইসিসির কাঠামো পরিবর্তন করে এর ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গত ৯ জানুয়ারি ‘পজিশন পেপার’ নামে একটি সংস্কার প্রস্তাব তুলে দেওয়া হয় সদস্য দেশগুলোর হাতে। পজিশন পেপারটি ফাঁস হলে তোলপাড় শুরু হয় ক্রিকেটবিশ্বে, বিশেষ করে দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেটের প্রস্তাবটি নিয়ে। তুমুল বিতর্কের মুখে দ্বিস্তর টেস্ট ক্রিকেটের প্রস্তাব বাতিল করে কিছুটা পরিমার্জিত আকারে পজিশন পেপারটি আবারও তুলে দেওয়া হয় সদস্য দেশগুলোর হাতে, যা শনিবার অনুষ্ঠিত আইসিসির বৈঠকে উত্থাপন করা হয়।