পাবনা প্রতিনিধি : ৪৮ ঘন্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার পাবনার বিভিন্ন মহাসড়কে গাছ ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে অবরোধ করে সমাবেশ করেছে জেলা নেতৃবৃন্দ। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের রাজাপুর, ক্যালিকো, জালালপুর, ধোপাঘাটা, বাঙ্গাবাড়িয়া, পুষ্পপাড়া, মধুপুর এবং ঈশ্বরদী উপজেলার কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়কের দাশুড়িয়া, কোলেরকান্দী বটতলা, নুতন হাট গোল চত্তর, দিয়াড় বাঘইল, ঈশ্বরদী রেলগেট, গোকুল নগরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ ও সমাবেশ করে।
পাবনা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে সমাবেশ করে ১৮ দলের জেলা নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুর রহীম, সেক্রেটারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, বিএনপি’র জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুলাহ আল মাহমুদ মান্নান, যুগ্ন সম্পাদক নুর মো: মাসুম বগা, দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আনিসুল হক বাবু, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান, সেক্রেটারী আব্দুর রব, পৌর নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী ফজলুর রহমান, ছাত্রদল সভাপতি হিমেল রানা, সেক্রেটারী তসলিম হাসান সুইট, শিবির শহর সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সেক্রেটারী মিনহাজ উদ্দিন, এডওয়ার্ড কলেজ সভাপতি মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ চলাকালে পুলিশ বাধা দিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পুলিশ পিছু হটে। এসময় বাস টার্মিনালে বিপুল সংখ্যাক র্যাব, ডিবি পুলিশ ও পুলিশ মোতায়ে করা হয়। টহল দিতে থাকে বিজিবির সদস্যরা।
ঈশ্বরদী প্লাটফর্ম থেকে তেমন কোন ট্রেন চলাচল করেনি। দুরপালার সব বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। অভ্যন্তরীন রুটেও কোন যান চলাচল করেনি। অফিস আদালত ছিলো একেবারেই জনমানব শুন্য। সাধারন মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। সন্ধ্যার দিকে বেড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে অবরোধ ও হরতাল বিরোধী একটি মিছিল বেড় করা হয়।