নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক লম্পট, মুসলমান বিধবা নারীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় এক শালিসী বৈঠকও হয়েছে। শালিসী বৈঠকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই লম্পট ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও এক বিঘা ফসলী জমি জরিমানা হিসেবে আদায় করা হলেও এর কিছুই পায়নি সেই মুসলমান স্বামী পরিত্যক্তা নারী। এ নিয়ে গ্রামে চলছে ব্যাপক গুঞ্জন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত্রীতে উপজেলার কালিকাপুর গোয়ালবাড়ী গ্রামে।গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ওই গ্রামের এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে (৪০)বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করতো একই গ্রামে নারায়ন চন্দ্র প্রাং এরই এক পর্যায়ে গত সোমবার রাত্রীতে ওই লম্পট নারায়ন ওই মুসলমান স্বামী পরিত্যাক্ত নারীর ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে স্থানীয় লোকজন তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে রাতেই বিষয়টি নিয়ে গোয়ালবাড়িয়া বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতে এক শালিসী বৈঠক হয়। বৈঠক ও ইউ,পি চেয়ারম্যান সূত্রে জানা যায় ওই বৈঠকে নারায়ন চন্দ্রের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । যা সে নগদ পরিশোধ করে। এ ছাড়া জোর পূর্বক এক বিঘা জমি গ্রামবাসীর নামে লিখে দেওয়ার জন্য একটি ননজুডিশিয়ার সাদা ষ্ট্যাম্পে নারায়নে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করার শর্ত দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। মঙ্গল বার তাদের আদালতে বিয়ের কথা থাকলেও নারায়ন চন্দ্র মঙ্গলবার সকাল থেকে উধাও হয়ে যায়। নারায়ন চন্দ্রের উধাও হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওই নারী সকাল থেকে নারায়ন চন্দ্রের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এদিকে ওই নারীর অবস্থানে নারায়ন চন্দ্রের পরিবারের লোকজন ওই নারীকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে না দিলে ওই নারী শেষ পর্যন্ত নারায়নের বাড়ির বারান্দায় অবস্থান নেয়। নারায়ন চন্দ্রের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও এক বিঘা জমি লিখে নেয়ার কথা গোয়ালবাড়ীর গ্রামের শতাধিক লোকজন স্বীকার করলেও বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মন্ডল অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি। তবে স্থানীয় ভাবে বসে বিষযটি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। গোয়ালবাড়ী গ্রামের একটি সূত্র (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানায় ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো নাটক নারায়নের কাছ থেকে আর্থিক সুযোগ নেয়ার জন্য ঘটানো হয়েছে। ওই মহিলার ইতিপূর্বে এ ধরনের আরো ২/১টি ঘটনা আছে। এ ঘটনা নিয়ে ওই গ্রামের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা গ্রামবাসী মনে করছে। এ বিষয়ে আত্রাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ খাঁনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানান তবে এ পর্যন্ত কোন পক্ষই লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবেএলাকার আইন শৃঙ্খলার রক্ষার স্বার্থে ঘটনার স্থল পরির্দশনে আত্রাই থানার তদন্ত ওসি শাহিনুর রহমান কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় আত্রাই থানার প্রেস ক্লাবের সভাপতি একেএম কামাল উদ্দিন টগর ঘটনার বিষয়টি উপস্থাপন সহ সভার সভাপতির ও আত্রাই থানার ওসির দৃষ্টি আকর্শন করেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীর আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করা হয়।
