স্বামীকে তালাক দেওয়ায় গাজীপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে সোহেলা খাতুন (৪২) নামে এক গার্মেন্টসকর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী কালু সেক (৪৫)। ১০ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার ৩৪নং ওয়ার্ডে শরীফপুর রোডে বাংলালিংক টাওয়ারের নিচে ওই ঘটনা ঘটে।

সোহেলা শেরপুরের নকলা উপজেলার ধুকুরিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে এবং ৩ সন্তানের জননী। স্বামী কালু সেক একই উপজেলার মমিনাকান্দা গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে। সোহেলা ও কালু গাজীপুর মহানগরীর শরীফপুর এলাকায় জনৈক কবির ম্যানেজারের ভাড়া করা বাড়িতে বাস করত। সোহেলা স্থানীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকের কাজ করত এবং কালু পেশায় ভ্যানচালক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাম্পত্য কলহের কারণে ৩-৪ দিন আগে সোহেলা তার স্বামী কালুকে তালাক দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন কালু। পরে শুক্রবার বিকেলে কালু স্ত্রী সোহেলাকে রাস্তায় একা পেয়ে তার (সোহেলা) গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে করে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোহেলার।

সোহেলার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শনিবার সোহেলার মরদেহ গাজীপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। তারপর নামাজে জানাযা শেষে তাঁকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হবে।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, সোহেলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী কালুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

