আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিসিবির মনোনিত নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবারের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। রাতে নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিন ১৭১ কাউন্সিলরশিপ চূড়ান্তও করেছেন তারা। ৩টি কাউন্সিলরশিপ জমা পড়েনি। অগ্রণী ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বোর্ড কাউন্সিলরশিপ জমা দেয়নি। ফলে বিসিবির ২৩ পরিচালক পদে নির্বাচন হলে ১৭১ কাউন্সিলর ভোটাধিকার পাবেন। তিনটি ক্যাটাগরিতে হবে বিসিবি ২৩ পরিচালক পদে নির্বাচন। প্রথম ক্যাটাগরিতে ১০, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ১২ ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১ পরিচালক নির্বাচন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন দুইজন পরিচালক। তারা হলেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস। ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পরদিন আপত্তি শুনানী ও প্রকাশ করা হবে। ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর বিসিবির মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। মিরপুরে বিসিবি কার্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে মনোনয়নপত্র।
২৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিন। নির্বাচন কমিশন পরদিনই মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে এবং প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। একদিনের বিরতিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। এরপর ৬ অক্টোবর হবে নির্বাচন। আনুষ্ঠানিকভাবে ৭ অক্টোবর ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের জন্য ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিসিবি। আইসিএবি’র (ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট এম ফরহাদ হোসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। বাকি চার সদস্য হলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বিসিবির আইনি পরামর্শক মুদ্দাসির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ একরামুল হক ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এক বছর পর আরেক অক্টোবরে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন। চলতি মাসে তার নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আরেকটি নির্বাচন যখন সামনে তখন ঘুরে ফিরে আবার আসছে একটিই নাম, নাজমুল হাসান পাপন।
এর আগের নির্বাচনে সাবেক বোর্ড প্রধান সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনের আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত নিজেকে সরিয়ে নেন। এবারের নির্বাচনে নাজমুল হাসান বাদে কারো নাম এখনও শোনা যায়নি। বরং স্রোত যেভাবে এগিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে বিসিবির হট সিটে আরও দুই বছরের জন্য বসতে যাচ্ছেন নাজমুল হাসানই।