ads

বৃহস্পতিবার , ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ফসলের নিবিড়তা বাড়াবে উৎপাদন

স্টাফ রিপোর্টার
সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ

দিন দিন জমি কমছে, কিন্তু বাড়ছে খাদ্য চাহিদা। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে বাড়াতে হবে ফসলের উৎপাদন। জমি যেহেতু বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হলে ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে হবে। এজন্য এক ফসলী জমিকে দুই ফসল, দুই/তিন ফসলী জমিকে তিন/চার ফসলী জমিতে রূপান্তরিত করতে হবে। কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে ফসলের জাত নির্বাচন করতে হবে, স্বল্পকালীন ফসলের আবাদ করার মাধ্যমে একই জমিতে একাধিক শস্য উৎপাদন করে ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে হবে। ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শেরপুর খামারবাড়ীর সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় এমন বক্তব্য তুলে ধরেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

Shamol Bangla Ads

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রণীত কর্মপরিকল্পনা শেরপুর জেলায় বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ শীর্ষক এ অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। পাওয়ার পয়েন্টে মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ জিয়াউর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসরাণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল মাজেদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কৃমার দে-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বারি জামালপুরের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রজব আলী, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য ও উদ্যান) সাখাওয়াত হোসেন, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর সহকারি পরিচালক সালমা আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর, ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা, আদর্শ চাষী নূরে আলম সিদ্দিকী, সাংবাদিক হাকিম বাবুল প্রমুখ।

বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার ৩০ উপজেলায় ১২৩ কোটি টাকা ৫৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ৫ বছর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর মেয়াদী ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২৫ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। প্রকল্পকালীন সময়ে এ অঞ্চলে প্রতি গ্রুপে ৩০ জন করে ৬২৩টি কৃষক গ্রুপ গঠন করে তাদের মাধ্যমে এ প্রকল্পটির কার্যক্রম চলবে। প্রকল্পভুক্ত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি গ্রামের ৫টি করে বাড়ী নিয়ে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি করে ‘মডেল গ্রাম’ করা হবে। যাতে ওই ইউনিয়নের ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ করবে।

Shamol Bangla Ads

প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ জিয়াউর রহমান বলেন, প্রায় ৪ হাজার হেক্টর স্থায়ী ও মৌসুমী পতিত জমি চাষের আওতায় এনে প্রকল্প এলাকার শস্যের গড় নিবিড়তা ২০৮ শতাংশ থেকে ২১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে বিভিন্ন ফসল (উচ্চমূল্যের এবং স্বল্প পানি চাহিদার ফসলসহ) আবাদের মাধ্যমে বহুমূখী শস্য আবাদ এলাকা ১২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৪ হেক্টর থেকে ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৮২ হেক্টর বৃদ্ধি। জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ভু-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বোরো ধানের আবাদ কমিয়ে ভু-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে আউশ আবাদ বৃদ্ধি পাবে। নার্স সিস্টেম থেকে উদ্ভাবিত প্রমাণিত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে (পলিনেশন হাউজ, ভাসমান সব্জী চাষ ও অন্যান্য) শস্যের উৎপাদনশীলতা ৮০ শতাংশ হতে ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া আয়বর্ধক কার্যক্রমে ৩০ শতাংশ থেকে নূন্যতম ৩২ শতাংশ মহিলাদের (বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মহিলাদের) সম্পৃক্ততার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন হবে। ফসলের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়বে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর সাথে সাথে আমাদেরকে মাটির স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে হবে। এজন্য রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার, কেঁচো সার এগুলোর ব্যবহার বাড়াতে হবে। পানির অপচয় রোধ করতে বোরোর আবাদ কমিয়ে আউশের আবাদ বাড়াতে হবে। নতুন নতুন উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত কৃষকদেরকে দিতে হবে। কেবল ফসরে উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ এবং পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য. সব্জী উৎপাদনে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের বড় দিক হলো, অন্যান্য প্রকল্প উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু এই প্রকল্পে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে।
শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কৃমার দে বলেন, কৃষিকে এখন আমাদেরকে এখন বানিজ্যিকভাবে দেখতে হবে। কৃষিকাজে শ্রমিক সংকট ও সাশ্রয় করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তাছাড়া হাইড্রোনেশ, পলিনেশন প্রযুক্তিতে ফসলের আবাদ করা সহ নতুন নতুন প্রযুক্তিতে লাভজনক ফসল আবাদ করতে হবে। আবাদের বৈচিত্র্য আনতে হবে।

 

error: কপি হবে না!