এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : নীলফামারীতে জানুয়ারি মাসে ২০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ জন, আত্মহত্যা করে ৬ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন, ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন, হত্যা দুই এবং রাজনৈতিক কারণে নিহত হয়েছেন আরও ৪ জন। থানা পুলিশ জানায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালিপুরে এরশাদুল আলম (৩২) ও নীলফামারীর দেবী ডাঙ্গায় সুলতানা আক্তার (১৫), আত্মহত্যা করে সদরের ইটাখোলা হরিহরে আবু কালাম (৪৫), ডোমারের পূর্ব বোড়াগাড়ির লাইজু রহমান (২৬), কিশোরীগঞ্জের পুটিমারীর মেনেকা রানী (৩২), জলঢাকার কৈমারীর সুশীলা রানী (২৫), শিমুলবাড়ির ঘুঘুমারির মির্জা রশিদুল বেগ (৫৫) এবং সৈয়দপুরের খাতামধুপুর ইউনিয়নের সলেয়াপাড়ার লাকী বেগম (২২), সড়ক দুর্ঘটনায় নীলফামারী শহরের মানিক হোসেন (১৪) ও মতিউল ইসলাম (৩২), ট্রেনে কাটা পড়ে সৈয়দপুরে সাফা (৪৮) ও ইউসুফ আলী (২১) মারা যান। এছাড়া জলঢাকার বালাগ্রাম ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামে শ্বাসরোধ করে গৃহবধূ সুনতি বালাকে (৩৫) হত্যা, ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় নবম শ্রেণির ছাত্র সুমন বাবু (১৫) ও মমিনুল ইসলাম শান্তকে (১৫)। জখম অবস্থায় ডিমলা উপজেলার খড়িবাড়ি ইউনিয়নের ভাসানীর চর থেকে অজ্ঞাত (৩৫) ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তিস্তা নদীর চর থেকে উদ্ধার করা লাশটির পরিচয় সনাক্ত করা না গেলে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক কারণে নীলফামারীতে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী (৩২) ও ছাত্রদল নেতা আতিকুল ইসলাম আতিক (২৪) এবং গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ডিমলায় জামায়াত কর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও জলঢাকায় মমতাজ উদ্দিন (৫০) নিহত হন।
