ads

রবিবার , ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জানুয়ারি ১২, ২০১৪ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি: ভোলাহাট উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে দীর্ঘ সময়ের শৈত্য প্রবাহ ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে দুঃস্থ অসহায় ছিন্নমূল পরিবারের লোকেরা শীত বস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত সপ্তাহ যাবৎ সূর্যের আলো দেখা মিলেনি। দীর্ঘ সময়ের প্রচন্ড শীতে অনেক বৃদ্ধ ও শিশুরা শীত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

Shamol Bangla Ads

অনেকে শীতবাহিত রোগে আক্রান্ত দরিদ্র রোগীরা সরকারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না। প্রচন্ড শীতের কারণে প্রতিদিনই শীতরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উলে­খযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উলে­খ্য, উপজেলা হাসপাতালে ঔষধ তো দূরের কথা দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক পদগুলি শূন্য রয়েছে এবং স্বাস্থ কর্মকর্তা থাকে অনুপস্থিত। তার সঙ্গে রয়েছে শীতের প্রয়োজনীয় ঔষধের ঘাটতি । সে কারণেও দরিদ্র অসহায় পরিবারের লোকেরা চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ভোলাহাট সীমান্তের হতদরিদ্র অসহায় পরিবার শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। তাই এ সমস্ত পরিবারের লোকেরা ঘরে কিম্বা বাহিরে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। উলে­খ্য,  ভোলাহাট সীমান্ত অঞ্চলের শীতার্থদের মাঝে উপজেলার প্রায়  ১লাখ লোকের মাঝে সরকারী ভাবে এক হাজার শীতবস্ত্র প্রদাণ করেছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি অপ্রতুল। সীমান্ত অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্টির সিংহভাগ লোকই দিনমুজুর, ছিন্নমূল, অসহায়, দুঃস্থ ও শ্রমিক পরিবার। প্রচন্ড শীতে কর্ম বন্ধ হওয়াতে আরোও বিপাকে পড়েছে এই সীমান্ত শ্রমজীবি পরিবারের লোকেরা।  তাদের আয়ের উৎস না থাকায় শুধুমাত্র শ্রমবিক্রি করে তাদের জীবন জীবিকা চালাতে হয়। দরিদ্র পরিবারের অন্য কোন উপায় না থাকায় আয়ের একমাত্র উৎস শ্রমবিক্রি। যে কারণে শ্রমবিক্রি বন্ধ হলে সংকটে পড়ে যায় এই সমস্ত পরিবারের লোকেরা। যদি এই সমস্ত শ্রমবিক্রি মানুষের জন্য সরকারী ভাবে কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে হয়ত সীমান্ত অঞ্চলের দরিদ্র, আশ্রয়ন ও গুচ্ছ গ্রামের লোকদের কর্ম করে তাদের জীবন-জীবিকা চালাতে পারত।উলে­খ্য, শুধুমাত্র মৌসুমীয় সময়ে কৃষকদের কৃষি কাজে এই সমস্ত শ্রমজীবি মানুষেরা শ্রমবিক্রির করার সুযোগ রয়েছে। আর বাকী সময় কাজ না থাকায় তাদের অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়। এতে অত্র অঞ্চলের কৃষকদের অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। সরকারী পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ভূমিকা না থাকায় আর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা লাগাতার হরতাল-অবরোধে শ্রমিকরাও পড়েছে বেকায়দায়। অভিজ্ঞমহলের মতামত সরকারী সুদৃষ্টি থাকলে শ্রমবিক্রির পথ সুগম হতো এবং পাশাপাশি তাদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেত। এতে কৃষকরা লাভবানের পাশাপাশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এবং দেশের উৎপাদনের পথ উমুক্ত হতো।  ভোলাহাটের বৃহত্তর হতদরিদ্র জনগোষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাক শীতবস্ত্র ও শীতাক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারী পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ও স্বহৃদয় ব্যক্তিদের দৃষ্টি কামনা করেছে অত্র এলাকাবাসী।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!