নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর)সংবাদদাতা : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার আয়েশা বেগম(১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফতেপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে ও মোগড়পাড়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী।এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানায় ১টি ইউ,ডি মামলা হয়েছে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায় আয়েশার নানা জয়নাল আবেদীন থানায় অভিযোগ করেছে সোমবার বিকালে আয়েশার মা-বাবা আয়েশাকে বাড়ীতে রেখে আত্মীয়ের বাড়ী বেড়াতে যায়। এরপর তারা রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়ী ফিরে মেয়েকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে তার ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে টর্চ লাইটের আলোতে দেখতে পায় আয়েশা গলায় ফাঁস দিয়েছে। এরপর তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আয়েশার মৃত্যু দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। আয়েশা যে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়েছে সে ঘরের বাহিরে থেকে তালা মারা ছিল নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে তার নানা জয়নাল জানান তিনি সেখানে এসে শুনেছেন তালা দেয়া ছিল। অপরদিকে গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় আয়েশার সাথে একই গ্রামের এক ছেলের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। এরই মধ্যে ছেলেটি মাস খানেক পূর্বে অন্যত্র বিয়ে করে এবং সোমবার বৌ ঘরে তুলে নেয়। সেই কারনেও সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তাদের ধারনা। আবার কেউ বলছে আয়েশা তার প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান নিতে চেয়েছিল কিন্তু তার পিতামাতা তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তার সঠিক কারন জানতে এখন ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা।
