রবিবার , ১৭ নভেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

নিলাম ছাড়াই প্রানি সম্পদ অফিসের ২ লাখ টাকার ঘরভেঙ্গে নিয়েছে মেম্বাররা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ১৭, ২০১৩ ৪:৪৮ অপরাহ্ণ

pic--parine sompd--16.11মোঃ আমিনুর ইসলাম,গাবতলী, বগুড়া : বগুড়ার গাবতলীতে আজিজার রহমান মেম্বারের নেতৃত্বে সংস্কারের মিথ্যা ধুয়াতুলে কাউকে কিছু না বলে প্রকাশ্যে নিলাম ছাড়াই প্রায় ২ টাকা মুল্যের সরকারী প্রানি সম্পদ অফিসের কৃত্রিম প্রজজন উপকেন্দ্রটি ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমলাচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ নভেম্বর নেপালতলী ইউনিয়নের কদমতলী উপ ইউনিয়ন পরিষদ বাজার এলাকায়। এলাকার বাসীর সুবিধা ও  গবাদী পশুর কৃতিম প্রজজন সবিধার জন্য সরকার ১৯৮৫ সালে একটি উপকেন্দ্র তৈরী করে। স্থানীয়রা জানায় প্রায় ২০ হাজার ইট দ্বারা গঠিত, ১০ বান্ডিল টিন, ৪ টি গ্রীলসহ জানালা, ৩টি দরজা বিশিষ্ঠ ২০ হাত লম্বা সেমি পাকা ঘরটি দীর্ঘদিন ব্যাবহারের ফলে জড়াজির্ন হয়ে পরে। হঠাৎ করে উলে¬খিত তারিখে নেপালতলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আজিজার রহমানের নেতৃত্বে ৩ মেম্বার ঐ ঘরটি থড়িঘড়ি করে ভেঙ্গ ইট, টিন, লোহার রড দ্রুত সড়িয়ে ফেলে। পরে গোপনে তা অন্যত্র মালামাল গুলো বিক্রিকরে ফেলে। এলাকাবাসী ঘর ভাঙ্গার কারন মেম্বারদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান এখানে নতুন ভবনের জন্য প্রকল্প করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায় প্রানি সম্পদ এই কৃত্রিম প্রজজন উপ কেন্দ্রের নামে কোন প্রকল্প বা ভবন নির্মানের জন্য কিছুই বরাদ্দ হয়নি। ইউনিয়ন ভুমি অফিস সংস্কারের নামে ২ টন টিআর বরাদ্দ করা হয়েছিল জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে সে প্রকল্প’র ২ টন টিআর স্থগিত করা হয়েছে বলে ইউএনও অফিস সুত্রে জানা গেছে। আজিজার রহমান মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রানি সম্পদ অফিসের কদমতলীতে রক্ষিত উপকেন্দ্রটি ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। সে আরো জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক নির্দেসে ঘরটি ভেঙ্গেছে। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিরা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজিজার মেম্বারকে কোন ঘরভাঙ্গা লিখিত ও মৌখিক অনুমতি দেননি বলে জানান। উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিসার ডাঃ আনিছুর রহমানে সাথে কথা বলে জানাগেছে তাকে না বলে কোন নিলাম বা ডাক ছাড়াই আজিজার ,শহিদুল ও মহিদুল মেম্বার অন্যায়ভাবে তাদের ঘরটি ভেঙ্গে নিয়েগেছে। সংবাদটি পাওয়ার পর হরতালের মধ্য এই প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ছুটেগিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিষয়টি জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তাকে লিখিত অবহিত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছে। এর অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। কদম তলীতে ২১ শতাংশ জাম রয়েছে বলে জানা গেছে। যার প্রয়োজনিয় জমির কাগজ পত্রাদী প্রানি সম্পত অফিসের নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। নেপালতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার গামার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টির কিছুই জানে না বলে জানান। প্রানি সম্পদ অফিসের ঘরভাঙ্গার ব্যপারে তাকে কেউ কোন কিছু বলেনি। এলাকায় অবৈধভাবে নিলাম ছাড়াই সরকারী ভবন ভেঙ্গে নিয়ে আত্মসাত করার বিষয়টি প্রকাশ হলে আজিজার মেম্বারসহ জড়িত মেম্বাররা বিষয়টি ঢাকার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছে। অন্য একটি গোপন সুত্র জানায় প্রায় ২ লাক টাকার মালামাল ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় লেনদেন করার জন্য অবৈধ উপায়ে প্রানি সম্পদ অফিসে সমঝোতা চলছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী সরকারী সম্পদ আত্মসাতের দায়ে আজিজার মেম্বারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমলাচনার ঝড় উঠেছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!