স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে রোপা আমনে ‘ব্রি’ ধান-৫২ জাতের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রদর্শনীর এক মাঠ দিবস হয়েছে। এ উপলক্ষে ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে নকলা উপজেলার পাইস্কা গ্রামে স্থানীয় সুরুজ্জামান স্কুল মাঠে এক কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর খামারবাড়ীর শস্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ বিলাস চন্দ্র পাল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় পাইস্কা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের ৫২ শতক জমিতে এবার রোপা আমন মৌসুমে বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য ব্রি-ধান ৫২ জাত প্রদর্শণী প্লট করা হয়েছিল। এতে প্রতিটি কুশিতে ৮/৯ টি করে ধানগাছ দেখা যায়। মাঠের ফসলও বেশ ভাল হয়েছে। ওই কৃষক এটা ছাড়াও তার আরও তিন একর জমিতে এবার ব্রি-ধান ৫২ জাতের চাষ করেছেন।
কৃষক লিয়াকত আলী খানের সভাপতিত্বে কৃষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন খান মুকুল, কৃষক আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজ্জাক প্রমুখ।
মাঠ দিবসের কৃষক সমাবেশে বলা হয়, ব্রি ধান-৫২ জাত বন্যা ও জলমগ্ন সহিষ্ণু হওয়ায় লাগানোর পর একটানা দুই-তিন সপ্তাহ পানির নীচে থাকলেও ধানগাছের কোন ক্ষতি হয়না বা পচে যায়না। অথচ অন্যান্য জাতের ধানগাছ ১০/১২ দিন পানির নীচে থাকলেই পচে যায়। তাছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাতের যেকোন ধানের চাইতে এর ফলনও বেশী। এজন্য কৃষকদেরকে রোপা আমন মৌসুমে ব্রি-ধান ৫২ চাষের জন্য পরামর্শ দেন কৃষি কর্মকর্তারা।