শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার জন্যে আরও ৫৯ জন বন্ধু ও একটি সংগঠনকে সম্মাননা জানানো হলো। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সপ্তম পর্বে বিদেশি ওইসব বন্ধুদের সম্মান জানান সরকার।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্ধুদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
সম্মাননা প্রাপ্তদের তালিকায় ভারতের ৪৪ জন, পাকিস্তানের ৪ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪জন, যুক্তরাজ্যের ২জন, জাপানের ২জন, শ্রীলঙ্কার ১জন, তুরস্কের ১জন ও মিসরের ১জন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা এবারকার সম্মাননায় ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ দেওয়া হয় ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমদ ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দকে । এ ছাড়া ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ দেয়া হয় অন্য ৫৭ ব্যক্তি ও মিসরভিত্তিক সংগঠন আফ্রো-এশিয়ান পিপলস সলিডারিটি অর্গানাইজেশনকে। ফখরুদ্দিন আলী আহমদের পে তাঁর ছেলে পারভেজ আহমদ ও গুলজারিলাল নন্দের পে তাঁর ছেলে তেজুস নাইক সম্মাননা গ্রহণ করেন।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত ছয়টি পর্বে ব্যক্তি ও সংগঠন মিলিয়ে ২৭৮ বিদেশিকে এ সম্মাননা দেওয়া হলো। তন্মধ্যে মধ্যে বিভিন্ন দেশের ২৬৯ জন ও নয়টি সংগঠন রয়েছে।

উলেখ্য, ২০১১ সালের ২৫ জুলাই ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’ দেওয়ার মধ্যদিয়ে বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইন্দিরা গান্ধীর পে তাঁর পুত্রবধূ ও ভারতের কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিলুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।
