শ্যামলবাংল ডেস্ক : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, গণতন্ত্রের বিকল্প যা আছে, তা গণতন্ত্রের চেয়েও খারাপ । ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে তিনি ওইসব কথা বলেন।
তরুণ সমাজকে দুর্নীতিবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্তকরণে টিআইবি পরিচালিত একটি কর্মসূচি হলো ইয়েস। বুধবার থেকে ওই সম্মেলন শুরু হয়েছে।
অধিবেশনে মূল বক্তা হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের খোলস আছে, প্রাণ নেই। আমরা যেসব সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত করে পাঠাই, সেখানে তাঁদের যা বলে দেওয়া হয়, সেখানে তারা সেই মতে কাজ করেন। তিনি বলেন, সামরিক শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি ছিল। দুর্নীতি এখনো আছে। এখন দুটো কথা বলতে পারি। কিন্তু সামরিক শাসনের আমলে তা বলা যেত না।’
‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও তারুণ্য’ শীর্ষক সম্মেলনে এই উপদেষ্টা আরো বলেন, সামরিক শাসনামলের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থাকার কারণেই। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শাসকেরা যা-ই হোক, মানুষের সৃজনশীলতার জন্যই এটুকু সম্ভব হয়েছে। হালুয়া-রুটির রাজনীতিতে দুর্নীতির বিচার নাই। দুই লাখ দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে দুইটার বিচার হয়।’
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক, কৃষক ও নারী এই তিনটি বিশেষ শ্রেণিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান অনুঘটক হিসেবে চিহ্নিত করে আকবর আলী বলেন, প্রবাসী শ্রমিকেরা তাঁদের অর্জিত অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি করেছেন। এ দেশের কৃষকদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলা হলেও তাঁরাই ১৯৭০-এর দশকের চেয়ে বর্তমানে তিন গুণ বেশি খাদ্য উৎপাদন করেন। অধিবেশনে ঢাকাসহ ৪৫টি অঞ্চলের ৪০০ জনের বেশি তরুণ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন ।
