শ্যামলবাংলা ডেস্ক : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ সদরের বৌলাই ইউনিয়নের হাবিবনগর এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। ১৭ আগস্ট শনিবার মধ্যরাতে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হানিফ ও নোমানের মধ্যে হানিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হানিফ কিশোরগঞ্জ সদরের বৌলাইয়ের ভট্টার্জিপাড়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই চেয়ারম্যানের ছোট ভাই তাহের মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান। এশার নামাজের পর তার জানাযার নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়। জানাযায় শরিক হতে কিশোরগঞ্জ শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ হাবিবনগরে আসলে জানাযার নামাজ শুরুর আগে মসজিদের ভেতর স্থানীয় জনৈক ভাসানীর সঙ্গে কমিশনার মাহতাব মিয়ার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ভাসানীর পক্ষের হানিফ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র নোমান প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে হানিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলার পাশে বন্দুকের গুলি লেগেছে। তাছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করা হয়েছে। বাকি আহতরা মাহতাব পক্ষের লোক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে সোহাগ ও সেলিম নামের ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের মাঝে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।