ads

মঙ্গলবার , ৪ জুলাই ২০২৩ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

অপার সম্ভাবনার শেরপুর : পরিপূর্ণতায় চাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও রেলপথ

জুবায়ের রহমান
জুলাই ৪, ২০২৩ ৯:০০ অপরাহ্ণ

‘দেশের সীমানা গারো পাহাড়ের ঠিকানা যেখানে গিয়েছে হারিয়ে, সেখানে শেরপুরের রূপময় ঘেরা বনানীর কোলে দাঁড়িয়ে…..’। উত্তরে ভারতের আসাম সীমান্ত, কাঁটাতারের বেড়া দ্বারা দু’দেশের সীমানা বিভক্ত রয়েছে। দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদ। ওপাড়ে জামালপুর জেলা সদর। পূর্বে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট। পশ্চিমে জামালপুরের ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জ উপজেলা। জেলার ঐতিহ্য-গৌরব আমাদের গারো পাহাড়। নয়নাভিরাম পর্যটন। স্রোতস্বিনী স্বচ্ছ জলাভরা চঞ্চল-চপলা হরিণীর মতো ছুটে চলা ঝরণা, পাখির কলরব, সবুজ প্রান্তর, বাতাসে ফুলের সুবাস আর স্বাধীনতার রক্তিম ইতিহাস। আর এসব নিয়েই ঐতিহাসিক, কিন্তু পশ্চাদপদ অবহেলিত প্রান্তিক জেলা শেরপুর।

Shamol Bangla Ads

মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে এ অঞ্চলের নাম ‘দশকাহনীয়া বাজু’ ইতিহাস থেকে জানা যায়। বাংলার নবাবী আমলে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী তদানীন্তন এ অঞ্চলের হিন্দু শাসক দলিপ সামন্তের রাজ্য ‘দশকাহনীয়া’ যার রাজধানী গড়জরিপা দখল করে স্বাধীনভাবে তার রাজস্ব কায়েম করেন। তৎপরবর্তী সময়ে শের আলী গাজীর নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় ‘শেরপুর’, যা শেরপুর জেলা হিসেবে পরিগণিত। সু-প্রাচীনকাল থেকে কৃষিনির্ভর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঈর্ষণীয় বিস্তীর্ণ শষ্যক্ষেত্রের অফুরন্ত ভাণ্ডারের অপর নাম ছিল শেরপুর। এরই ফলে বৃটিশরা ১৮৫৯ সালে ময়মনসিংহের সাথে শেরপুরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পৌরসভায় উন্নীত করে। এরপর ১৯৭১ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেরপুরকে ৬১তম জেলা হিসাবে ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজনৈতিক ঘোলা জলে তলিয়ে যায় সেই স্বপ্ন। পরে ১৯৭৯ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার শেরপুরকে মহকুমা হিসাবে প্রশাসনিক পর্যায়ে উন্নীত করেন। বর্তমান শেরপুর জেলায় মোট ৫২টি ইউনিয়ন। ৪টি পৌরসভা। গ্রামের সংখ্যা ৬৭৮টি। মোট জনসংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৬১০ জন। মোট আয়তন ১৩৬৩.৭৬ বর্গ কিলোমিটার। এ অঞ্চল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরভুক্ত ছিল। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর শেরপুর পাকহানাদার মুক্ত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ অঞ্চলের নানা স্মৃতিগাঁথা ঐতিহাসিকভাবে আজ স্বীকৃত। এর অন্যতম নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর বিধবাপল্লীর অবর্ণনীয় রক্তিম ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই পাকহানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতায় সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে ১৮৭ জন পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর থেকে ওই গ্রামের নাম হয় বিধবাপল্লী।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই শেরপুরের মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ে নানা আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত ছিল। যেমন বক্সারী বিদ্রোহ, কৃষক আন্দোলন, ক্ষত্রিয় আন্দোলন, প্রজা আন্দোলন, ফকির বিদ্রোহ, টঙ্ক আন্দোলন, আদিস্থান আন্দোলনসহ সর্বশেষ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯৭১, যা ইতিহাসের অমর স্বাক্ষী। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর তৎকালীন শেরপুর মহকুমার সকল শ্রেণি-পেশার আপামর জনসাধারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অগ্রগতির সাথে সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত সুখী-সমৃদ্ধশালী হওয়ার স্বপ্ন স্ব-স্ব হৃদয়পটে অঙ্কন করেছিলেন বটে। কিন্তু শেরপুরবাসীর সেই স্বপ্ন বৈষম্যের বেড়াজালে আজও বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্নের স্বপ্নদ্রষ্টা। ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত, শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত অসম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। কৃষিভিত্তিক বাণিজ্যিক জেলা শেরপুরের শিক্ষা-দীক্ষা, রাস্তা-ঘাট, কুটির শিল্প, ঐতিহ্যমণ্ডিত পর্যটন শিল্পে উন্নয়ন, ফুল-ফসলের ঘ্রাণ বিশ্বময়তো নয়ই, দেশব্যাপী এর সুফল ছড়িয়ে দেয়ার মতো দক্ষ নেতৃত্ব থাকার পরও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে শেরপুর জেলা আজও অপরিচিত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শেরপুরের পরিচয় আজও জামালপুরের শেরপুর অথবা ময়মনসিংহের শেরপুর হিসাবে পরিচয় বহন করে। এই ব্যর্থতা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক। স্বনামে শেরপুর আজও অন্ধকারে মলিন।

Shamol Bangla Ads

স্বাধীনতার চার দশক পরও শেরপুর জেলার মানুষ শোষিত-বঞ্চিত ও চরম বৈষম্যের শিকার। কারণ দেশের বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এ অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পদচারণা নেহায়েতই কম দেখা যায়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও বিভিন্ন উচ্চতর পর্যায়ে তাদের কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে না। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেতো নয়ই। শেরপুর জেলায় এক যুগ আগেও প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রও ছিল সীমিত পরিসরে। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গ্রামে-গঞ্জে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ দিলেও উচ্চ শিক্ষার জন্যে শেরপুরে আজও প্রতিষ্ঠা পায়নি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। শেরপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে যতদূর জানি, তৎকালীন শেরপুরের নয়ানী জমিদারের আমলে সর্বপ্রথম একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্থাপন করা হয়। ১৮৮৭ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়া জুবেলী উৎসব উপলক্ষে সেই স্কুলটিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল হিসাবে উন্নীত করেন এবং এর নামকরণ করা হয় ভিক্টোরিয়া একাডেমী। এরপর ১৯১৮/১৯ সালে গোবিন্দ কুমার পিস মেমোরিয়াল (জি.কে.পি.এম) নামে আরও একটি স্কুল স্থাপিত হয়। ১৯৪৯ সালে নারী শিক্ষার প্রসার কল্পে প্রতিষ্ঠিত হয় শেরপুর বালিকা বিদ্যালয়। ১৯৫৭ সালে সরকারি ‘কৃষি মিলনায়তন’ যা বর্তমানে কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে কৃষিভিত্তিক গবেষণা প্রয়োজনের স্বার্থে ভবন নির্মাণের জন্য রয়েছে প্রায় অর্ধশতক একর নিজস্ব ভূমি। শেরপুরবাসী এই প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্ণাঙ্গ ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে উন্নীতকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কাক্সিক্ষত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে কৃষি নির্ভর জেলা দেশের অর্থনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। একই সাথে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ প্রসারিত হবে। শেরপুর জেলায় শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিকহাসিক প্রেক্ষাপট সারা বাংলার মফস্বল অঞ্চল থেকে ভিন্ন নয়। ১৯৬৪ সালে শেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। যা বর্তমানে শেরপুর সরকারি কলেজ হিসাবে পরিগণিত। অন্যদিকে স্বাধীনতা উত্তর নারী শিক্ষার বিকাশে ১৯৭২ সালের ২৭ জুলাই কয়েকজন বিদ্যানুরাগী ব্যক্তির প্রাণের ছোঁয়ায় প্রয়াত জমিদার গোপাল চন্দ্র দাস চৌধুরীর পরিত্যক্ত বসতবাড়ির নিকুঞ্জ ছায়ায় স্থাপিত হয় শেরপুর মহিলা কলেজ। পরবর্তী ১৯৮৪ সালে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একই দিনে তাঁর শেরপুর আগমন উপলক্ষে বিকেন্দ্রিকরণের মাধ্যমে শেরপুরকে একটি স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে উন্নীতকরণ এবং মহিলা কলেজকে সরকারিকরণের ঘোষণা করেন। বর্তমানে কলেজটি অনগ্রসর নারী শিক্ষার একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই ঘোষণামতে, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি স্কুল, প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা হাতে নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহের পাশাপাশি জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ আজ দৃশ্যমান। ঐতিহ্যগতভাবে জামালপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ এসব জেলার চেয়ে কখনোও পিছিয়ে ছিলো না শেরপুর জেলা। বর্তমানে যোগযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে শেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী আরও ৫ জেলার প্রায় অর্ধকোটি মানুষের পদচারণায় মুখর। ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট, পশ্চিমদিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ এবং যমুনা নদীর ওপাড়ে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলার একাংশের অনেক মানুষ শেরপুরের কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে। কাজেই বৃহত্তর এ অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র শেরপুরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা গেলে এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত মেধাবী ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়ায় সুযোগ পাবে। একই সাথে শেরপুরের অর্থনীতি সংস্কৃতি, রাজনীতি, জীবনাচার ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে অংশীদার হতেও পিছিয়ে থাকবে না। এছাড়া সরকার তৃণমূল থেকে কেন্দ্রমুখী উন্নয়ন করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, শেরপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তার নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। তাই অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের পীঠস্থান, ঐতিহাসিক ও কৃষিসমৃদ্ধ শেরপুরে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়/কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি বিভাগের অন্য তিনটি জেলার মতো একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন অত্যাবশ্যকই বলা যায়। জনমনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন শেখ রাসেলের নামে এত বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ নামকরণ করতে হবে? শেখ রাসেল হলেন একজন নিষ্পাপ ও পবিত্রতার প্রতীক। শেরপুরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারো নামে কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় শেখ রাসেলের নামে প্রতিষ্ঠানসমূহের নামকরণ যুক্তিযুক্ত।

বিশ্বায়নের এ যুগে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সোপান হচ্ছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থার কল্যাণে অবহেলিত শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তের নাকুগাঁও নামক স্থানে একটি স্থলবন্দর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানী-রপ্তানী করা হচ্ছে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সরকার সারাদেশের উন্নয়ন ও রেলপথ সম্প্রসারণ নীতির কারণে ৮ জুন ২০১৪ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মজিবুর রহমান পিয়ারপুর থেকে শেরপুর রেলপথ স্থাপনে ঘোষণা দেন। ইতোপূর্বে রাংটিয়া, শেরপুর, জামালপুর রেলপথ স্থাপনে বৃটিশ সরকার ১৯৩০ এর দশকে প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল বলে জানা যায়। পরে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর রেলপথ স্থাপনের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। স্বাধীনতার পরবর্তী ১৯৮০ দশকে প্রথম দিকে পুনরায় জামালপুর-রাংটিয়া ভায়া শেরপুর ২৭ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনে প্রকল্প হাতে নেয় বঙ্গবন্ধু সরকার। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর রেলপথ স্থাপনের কাজ পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৭-৮৯ সাল পর্যন্ত রেলপথ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, যা জরিপকাজে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে জানা যায়। এরপর প্রকল্পটি আর বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এমতাবস্থায় কৃষিতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নাকুগাঁও স্থলবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে আপার সম্ভাবনাময় ক্ষুদে জেলা শেরপুরে রেললাইন স্থাপনও এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি।

অবহেলিত শেরপুর জেলার উচ্চ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের আওতায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল কলেজসহ রেল সংযোগ স্থাপন করে শেরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট, নির্বাহী সম্পাদক, শ্যামলবাংলা২৪ডটকম, শেরপুর।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!