শ্যামলবাংলা ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রয়োজনে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণ বিধি সংশোধন করতে পারে বলে জানা গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সংশোধনীর বিষয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান। কিন্তু এ বিষয়ে সব প্রশ্নই এড়িয়ে যান তিনি। এ বিষয়ে ইসির যুগ্মসচিব (আইন শাখা) মো. শাহজাহান বলেন, ‘আমি এখনো বিস্তারিত সংশোধনী সম্পর্কে জানি না। ইসি অনুমোদন করলে আমাদের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এখন প্রয়োজন না হলে ভোটের পরেও সংশোধন করা সম্ভব হবে বিধিতে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘নির্বাচন বিঘ্নিত বা আইনি জটিলতা তৈরি হওয়ার মতো কোনো সমস্যা বিধিতে তারা পাননি। তবে কিছু ফরম ও প্রতীক সংক্রান্ত ‘করণিক ত্রুটি’ পাওয়া গেছে যা ভোটের আগে দূর করতে হবে।’ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা নির্বাচন বিধির ছয়টি বিষয় সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসির অনুমোদন পেলে শিগগিরই ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে, যাতে প্রতীক বরাদ্দের আগে (১৩ ডিসেম্বর) কোনো প্রশ্ন উঠতে না পারে। সেজন্য এসব সংশোধন গেজেট আকারেও জারি হতে পারে।’
নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আগামী ১৪ ডিসেম্বরের আগে এসব সংশোধনী আনা না হলে প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে পারেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে কয়েকজন রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিকভাবে এর ব্যাখা চেয়েছেন।’
বিএনপি ভোট পেছাতে আইন সংশোধন এবং আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্যদের প্রচারে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছিল ইসির কাছে।
গত ৩০ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ তাদের জানিয়ে দেন, তফসিল ঘোষণার পর এ পর্যায়ে এসে কোনো সংশোধনী আনার সুযোগ নেই।




