ads

সোমবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

নরসিংদীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বসতবাড়িতে আ’লীগ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা-ভাংচুর : আহত ৩০

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪ ১:৩৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বসতবাড়িতে আ’লীগ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা-ভাংচুর : আহত ৩০

নরসিংদী প্রতিনিধি : রবিবার ভোরে নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে এক নজীরবিহীন সশস্ত্র হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব আলী মেম্বারের বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, সাথে পুড়িয়ে দিয়েছে আরো ৬টি বাড়ী-ঘর। একই সময় সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ ৪ ঘন্টা সশস্ত্র তান্ডব চালিয়ে কমবেশী অর্ধশত বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। লুটে নিয়েছে নগদ টাকা, বাড়ীঘরসহ অন্ততঃ ৩ কোটি টাকার সম্পদ। এলাকাবাসীর হিসেবে হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২ থেকে ৩শত ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়েছে। ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে প্রায় সমসংখ্যক। সন্ত্রাসীদের হামলায় কমবেশী ৩০ জন বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আবুল কালাম (৩৫), কুদ্দুস (৭০), সুজন (২২), নায়েব আলী (২৫), ফাতেমা (২৫) নামে ৫ জনের নাম জানা গেছে। বাকীরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

Shamol Bangla Ads

এলাকাবাসী জানিয়েছে, আলোকবালী ইউনিয়নে দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দ্ব›দ্ব কলহ ও সশস্ত্র সংঘাত চলে আসছে। ১৯৭৯ সালে আব্দুল হক নামে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে খুন করার পর থেকে এই বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘটিত হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য সংঘর্ষের ঘটনা। এতে নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এবং আহত হয়েছে সহশ্রাধিক লোক। মামলা পাল্টা মামলা হয়েছে অন্ততঃ ৮০/৯০টি। সর্বশেষ ২০১২ সালের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যুবদল নেতা রাজা মিয়াকে প্রকাশ্য দিনদুপুরে নৌকার মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। এরই জের ধরে গত ২০১৩ সালের নরসিংদী শহরে খুন হয় আলোকবালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার। এরপর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিপু। চেয়ারম্যান হয়েই সে পূনরায় পিতার পথ দরে সংঘাতের সাথে জড়িয়ে পড়ে। বছরখানেক পূর্বে দিপু জনৈক আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে পূনরায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটায়। স¤প্রতি নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর নরসিংদীর একজন আওয়ামী লীগ নেতার প্ররোচনায় তারা আলোকবালী ইউনিয়নকে বিএনপি শূন্য করে খালি মাঠে সীল মারার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী-ঘর আক্রমনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলে তা নরসিংদী থানা পুলিশের গোচরীভূত হয়। খবর পেয়ে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশের এসআই মাহবুব ও টুটুল আলোকবালী ইউনিয়নের গিয়ে অভিযান চালিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়ী থেকে প্রচুর পরিমান টেটা, বল্লম, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পাশবর্তী নেকজানপুর, কাজিরকান্দী,রাজনগর ও আলোকবালী এলাকা থেকে কয়েকশত লাঠিয়াল নিয়ে রনপ্রস্তুতি গ্রহণ করে। রাত শেষ না হতেই ভোর ৫ টায় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিপু ও মৃত হালিম মেম্বারের পুত্র আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে ২/৩শত লোক মুরাদনগর গ্রাম ঘেরাও করে এলোপাতারি ককটেল বিস্ফোরন ঘটাতে থাকে। সাথে সাথে বর্ষণ করতে থাকে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ফাঁকা গুলি। অবিরাম ককটেল ও ফাঁকা গুলির আওয়াজে মানুষের ঘুম ভেঙ্গে গেলে তারা বাড়ী-ঘর ছেড়ে এলোপাতারি দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এরপর তারা প্রথমেই বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব আলী মেম্বার তার ভাই আব্দুল আউয়াল, ভগ্নিপতি মিয়া চাঁন ও বিএনপি কর্মী খাবিরের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকলে গ্রামটি মানুষ শূন্য হয়ে পড়ে। এই সুযোগে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘন্টা তান্ডব চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ৪৭টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। সন্ত্রাসীরা গরু, ছাগল, হাস,মুরগী, ধান-চাল, থালাবাসন, আসবাবপত্র ও নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে পরে তারা বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। দীর্ঘ এই সাড়ে ৪ ঘন্টা তান্ডব চলাকালে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কেউ এগিয়ে যায়নি। সকাল সাড়ে ৯ টায় নরসিংদীর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেও সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই ককটেল বিস্ফোরন ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশ সন্ত্রাসীদেরকে ধাওয়া করলে তারা নিরাপদ দুরত্বে চলে যায়। বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব আলী মেম্বার কোন রকমে আত্মগোপন করে প্রাণে বেঁচে যায়। তিনি জানান, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মুরাদনগর গ্রামের অন্তত ৫শত বিএনপি নেতাকর্মী গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!