ads

শুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কুষ্টিয়া সংবাদ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪ ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

kushtia_district_map_bangladesh-125_249কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে জামাত-বিএনপি উভয় সংকটে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :  কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতকে সমর্থন দেয়া নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে বিএনপি। নির্বাচনের মাত্র ৬ দিন আগে কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর যে নির্দেশ এসেছে তা বাস্তবায়ন করা দলটির নেতাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দফায় দফায় মিটিং করেও কুল-কিনারা করতে পারছেন না দলটির নীতিনির্ধারকরা। এদিকে করনীয় ঠিক করতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতারা নিজেদের নেতাদের নিয়ে সভা করেও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনায় আসুক তা এখন দেখা হবে না বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এদিকে গতকালও বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালাতে দেখা গেছে।
সদর উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বিএনপি প্রার্থীকে মাঠ থেকে সরে যাওয়ার কেন্দ্রের নির্দেশ আসার বিএনপি নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নির্বাচনের আগ মূহুর্তে দলীয় নির্দেশনা আসায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন তারা। এখন কুল রাখিনা শ্যাম রাখি অবস্থা বিএনপি নেতাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা বিএনপি নেতারা সভায় মিলিত হন। সেখানে বিএনপি প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারকে মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সভায় বেশির ভাগ নেতা এই মূহুর্তে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে না আসার সিদ্ধামত্ম দেন। আবার অনেকে কেন্দ্র নির্দেশ বাসত্মবায়ন করার কথা বলেন। জাকির হোসেন সরকারও নির্বাচন করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি জটিল হওয়ায় সদর থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে আলোচনা করেন। তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের আজকের মধ্যে ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রাসত্মা বের করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেন, কেন্দ্র থেকে এই সিদ্ধান্ত আগে দিতে পারত। তাদের প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার মাঠে একটি ভাল অবস্থান তৈরি করেছেন। এখন এই সিদ্ধান্ত মানা সবার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। ওই নেতা বলেন, তরিকুল ইসলামের সঙ্গে জাকির হোসেনের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। জাকির হোসেনকে যাতে প্রার্থী রাখা হয় সে জন্য তরিকুল ইসলাম নিজেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া দলের আরেকজন নেতা বলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্যর সাথেও তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। এ কারনে বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা চান জাকির হোসেনই নির্বাচনে মাঠে থাকুক।
তবে জামায়াত বিএনপি থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে হতাশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আসার পর বিএনপির প্রার্থী মাঠ থেকে সরে না যাওয়ায় তারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। জামায়াতের দুই নেতা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম কেন্দ্রীয় নির্দেশ আসার পর বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার মাঠ থেকে সরে এসে আমাদের প্রার্থীকে সমর্থন করবে। তা না করে এখনো মাঠে আছেন তিনি। জামায়াত নেতারা মনে করেন, বিএনপি সমর্থন না দিয়ে তারা ভুল করছেন। এতে জোটের রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে। তবে বিএনপিতে জামায়াত বিরোধী যেসব নেতারা আছে তারা জামায়াতকে সমর্থন দেয়ার পক্ষপাতিত্ব নন। তারা মনে করেন, জামায়াতকে সমর্থন দিলে বিএনপির জন্য ক্ষতি হবে। তাই বিএনপির প্রার্থীর আলাদা নির্বাচন করা উচিত।
জামায়াতের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোশাররফ হুসাইন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মানা না মানা বিএনপির নিজস্ব ব্যাপার। মানলে ভাল, না মানলে আগামী দিনের জন্য খারাপ দৃষ্টামত্ম হয়ে থাকবে। জামায়াতের এ প্রার্থী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি আমাদের ৫টি আসন ছেড়ে দিলে সেখানে বিদ্রোহী প্রাথী দাঁড় করিয়ে দেয়। জয়ী হলে তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নেয়া হয়। এটা ঠিক না। তিনি বলেন, আমাদের হারানোর পলানোর কিছু নেই।
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আসার পরও তারা মাঠে প্রচার চালাচ্ছে। বাস্তবায়নের কোন প্রতিফলন নেই। আমাদের সঙ্গে তারা কোন কথা বলেনি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা দেখবে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, এখন বিএনপি প্রার্থী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালে দলে চরম সংকট সৃষ্টি হবে। এতে জামায়াত লাভবান হলেও বিএনপি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে। এদিকে হঠাৎ এরকম নির্দেশনা আসায় বিএনপির অনেক সুবিধাবাদী নেতা এতে রং চং মাখিয়ে মুখরোচক গল্প বানিয়ে বাজারে ছেড়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছেন। জেলা বিএনপির একজন নেতা বলেন, কেন্দ্র থেকে সোহরাব উদ্দিনকে ফোন দেয়ায় অনেক নেতা অপপ্রচার চালাচ্ছেন জাকিরকে হেনস্থা করতে সোহরাব ভাই এ নাটক সাজিয়েছে। ওই নেতা বলেন, জাকিরের মত নেতাকে হেনস্থা করতে সোহরাব ভাইয়ের এসবের প্রয়োজন হয় না। যারা এসব প্রচার করছেন তারাই বরং এসব ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকতে পারেন।
জাকিরের অনুগত এক বিএনপি নেতা বলেন, জাকির হোসেন নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে সিদ্ধামত্ম নিয়েছেন। তিনি প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন। কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে তা অন্যায় বলে মনে করেন এ নেতা।
সদর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এসএম ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা থেকে লিখিত কোন ম্যাসেজ আসেনি। ফোনে একটা ম্যাসেজ এসেছিল। আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করার একটা নির্দেশ ছিল তাতে। তবে এখন সমঝোতা করার সময় আর নেই। আমাদের প্রার্থী মাঠে আছে, থাকবে। তিনি বলেন, আজ (গতকাল) তিন ইউনিয়নে আমরা সারাদিন গনসংযোগ করেছি। নির্বাচন না করার মত কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এ ব্যাপারে কোন সংশয় নেই।

কুষ্টিয়ায়  বিজিবি অভিযানে বিপুল পরিমানে মাদকদ্রব্য আটক

Shamol Bangla Ads

কুষ্টিয়া সেক্টর সদর দপ্তরের মিরপুরস্থ ৩২ বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭৯৫ কেজি ভারতীয় জিরা, সাড়ে ২২ কেজি ষ্টিলের বল/বাটি, ৬২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে। আটককৃত মাদকদ্রব্য ও মালামালের মূল্য ৭ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পৃথক অভিযান চালিয়ে পাবনা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলা  থেকে এসকল মাদক ও মালামাল উদ্ধারের ঘটনা গুলো ঘটে। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সদর হতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোঃ তারেক মাহমুদ সরকার এর নেতৃত্বে একটি টহল দল টাক্সফোর্স অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুর হতে ঢাকাগামী একতা এক্্রপ্রেস ট্রেন গোপালপুর রেল ষ্টেশনে তল­­াশী করে মালিক বিহীন ৭৮৫ কেজি ভারতীয় জিরা উদ্ধার করে। ব্যাটালিয়ন সদরের নায়েব সুবেদার মোঃ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে অপর একটি টহল দল কুষ্টিয়া বটতলা হতে ১০ কেজি জিরা এবং সাড়ে ২২ কেজি ষ্টিলের বল/বাটি উদ্ধার করে। অন্যদিকে দিকে ৩২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের কাজিপুর বিওপির হাবিলদার মোঃ খলিলুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি টহল দল মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর উত্তর মাঠে অভিযান চালিয়ে মালিক বিহীন ৬২৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। একই দিন বাজিতপুর বিওপির হাবিলদার মফিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার বাজিতপুর সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মালিক বিহীন ৫ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করে। এছাড়া কাথুলী কোম্পানীর হাবিলদার মোঃ মোজাম্মেল হক এর নেতৃত্বে একটি টহল দল মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার কুতুবপুর বালুর মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে  ২ বোতল বিদেশী মদ এবং ৪,০০০ টি আরমেন ট্যাবলেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলি ধ্বংশের নিমিত্তে ৩২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয় এবং জিরা ও অন্যান্য মালামাল শুল্ক অফিসে জমাদানের প্রক্রিয়া চলছিল।

কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন

কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা বার ভবন মিলনায়তনে এই যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়। এপর্বে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী সকল প্রার্থীকেই বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাড.আ.স.ম.আক্তারুজ্জামান মাসুম। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন এবং আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেল ৪টায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন নির্বাচন কমিশন। গতকাল প্রার্থীতা যাচাই-বাছাইয়ের পর বিভিন্ন পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বার বার নির্বাচিত সভাপতি, সিনিয়র আইনজীবী ও ঢাকা ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড.সিরাজ-উল-ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাচিত সভাপতি,কুষ্টিয়া ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড.আমিরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড.সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক পদে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বার বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড.নূরুল ইসলাম দুলাল ও কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী ও দুদক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফল আইনকর্মকর্তা এ্যাড.মীর ছানোয়ার হোসেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড.আব্দুল জলিল, এ্যাড.আব্দুল মান্নাফ, ও এ্যাড.মতিয়ার রহমান-১। সহ-সভাপতি পদে এ্যাড.আব্দুল খালেক-১ ও এ্যাড.কাজী ইমদাদুল হক(তারা)। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ পদে এ্যাড.নিজাম উদ্দিন, এ্যাড.এস এম মনোয়ার হোসেন মুকুল ও এ্যাড.সাজ্জাদ হোসেন সেনা। কোষাধ্যক্ষ পদে এ্যাড.তাপশ কুমার কুন্ডু, এ্যাড. মাহমুদুল হক চঞ্চল ও এ্যাড.এ,কে,এম ওয়াজেদুল ইসলাম খান (চাঁদ)। লাইব্রেরী সম্পাদক পদে এ্যাড.শহিদুল ইসলাম(২) ও এ্যাড.মিয়া নাজির আহমেদ। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এ্যাড. আলতাফ হোসেন, এ্যাড.খন্দকার আবু শাহী মোঃ ইলিয়াস, এ্যাড.মোছাঃ সুলতানা বেগম মমো ও এ্যাড.মফিল উদ্দিন মন্ডল(মাফি)। দপ্তর সম্পাদক পদে এ্যাড.এস এম শাতিল মাহমুদ ও এ্যাড.আসলাম পারভেজ। সিনিয়র সদস্য ৪ টি পদে এ্যাড.মনজুর হোসেন, এ্যাড.আব্দুর রশিদ-২, এ্যাড.তানজিলুর রহমান এনাম, এ্যাড.কাজী সাইফুদ্দিন বাপ্পি, এ্যাড.আয়েশা সিদ্দিকা ও এ্যাড.আবু আজম। জুনিয়র সদস্য ৪ টি পদে এ্যাড.আকলিমা পারভীন, এ্যাড.আবুল হাসনাত মিন্টু, এ্যাড.আব্দুল­াহ আল মামুন(মোহন), এ্যাড.রাজিব আহসান, এ্যাড.আব্দুর রউফ, এ্যাড.তোজাম্মেল হক, এ্যাড.নুরুল ইসলাম নুরুল, এ্যাড.রোকনুজ্জামান ও এ্যাড.ইমরান হোসেন দোলন।
তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির কার্য্য নির্বাহী পরিষদের ২০১৪-২০১৫ বষের্র সাধারণ নির্বাচন। সমিতির নিজস্ব ভবনে সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যমত্ম। এবারের নির্বাচনে এ্যাড.আ.স.ম.আক্তারুজ্জামান মাসুম প্রধান নির্বাচন কমিশনার, এ্যাড.আকতারুজ্জামান ও এ্যাড.আমিরুল ইসলাম(৩) নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে এখন পর্যমত্ম প্রকাশ্যে কোন প্যানেলই দল বেধে ভোট চাচ্ছেনা ভোটারদের কাছে। প্রচারনার ক্ষেত্রে শেষ পর্যমত্ম এই অবস্থা থাকে কিনা সেটি বিবেচ্য না হলেও হ্যাভি ওয়েট প্রার্থীরা কে কোন প্যানেলের প্রার্থী সেটি কিন্তু ভোটারদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই সম্পন্নে পর পরই ভোটারদের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে বিগত দিনের কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। প্রার্থীরা রাতের আধারে ছুটছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চলছে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের সাথে মত বিনিময় ও ভোট প্রার্থনার কাজ। অল্প সময়ের এ নির্বাচনকে ঘিরে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী ভবন নিরোত্তাপ থাকলেও প্রার্থীতা যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচনী উত্তাপের আমেজ বইছে ভোটারদের মাঝে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারনায় যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। চলছে নিজ নিজ সেরেস্তার আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণের জোর চেষ্টা। পেশাগত হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও ভোটকে কেন্দ্র করে একে অপরের সাথে দেখা করছে এবং ভোটারদের কাছে নিজের পক্ষে ভোট চাইতে শুরু করেছেন। প্রার্থীরা আইনজীবীদের সার্বিক কল্যাণে ও সমিতির উন্নয়নের কথা শুনাচ্ছেন ভোটারদের।

ইবি’র নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ

Shamol Bangla Ads

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতি গতকাল বেলা ১১ টায় সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সদ্যবিদায়ী সমিতির সদস্যগণ ফুলেল শুভেচ্ছা এবং উপহার প্রদান করে নতুন সদস্যদের স্বাগত জানান এবং দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।  দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সমিতির নতুন সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা এবং স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজন দল-মতের উর্দ্ধে থেকে শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা। নতুন সমিতি শিক্ষকদের মর্যাদা ও স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রশাসন, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবে। এজন্য তিনি সমিতির সদ্যবিদায়ী সদস্যগণসহ সকল শিক্ষকের আমত্মরিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা নেতা হতে আসিনি, সেবক হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন সমিতির সদ্যবিদায়ী সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ নজিবুল হক, সমিতির নতুন সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী এবং সমিতির সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন। সমিতির সদ্যবিদায়ী যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম মাওলা দায়িত্ব হ¯তান্তর অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

দৌলতপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠক ছাড়াই ৩ ঘন্টা পর যুবককে ফেরত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমামেত্ম বিএসএফ’র হাতে মামুন (২৮) এক যুবক আটক হওয়ার ৩ ঘন্টা পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ডাংয়ের পাড়া গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মামুন ঠোটারপাড়া সীমামত্ম সংলগ্ন মাঠে নিজ জমিতে কাজ করার সময় ভারতের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার কাচারীপাড়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ তাকে আটক করে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা বিএসএফ’র হাতে আটক বাংলাদেশী যুবককে ফেরত চেয়ে বিএসএফ’র নিকট পত্র দেয়ার প্রস্ত্ততি নিলে পতাকা বৈঠক ছাড়াই প্রায় ৩ ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেয় বিএসএফ।

কুষ্টিয়া জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতির ইন্তেকাল

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদু’র মৃত্যুর সপ্তাহ পেরুতে না পেরুতে এবার পরপারের যাত্রী হলেন সহ-সভাপতি আক্কাস আলী মঞ্জু। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চির প্রস্থান নিয়েছেন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময়। গত বছরের ১সেপ্টেম্ব^র কুষ্টিয়া শহরতলীর লাহিনীপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে চিকিৎসারত ছিলেন। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ওই নেতা রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন(ইন্নাল্লিাহেৃ..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সামাজিক ও রাজনীতিতে অসামান্য অবদানের অধিকারী এই ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। সমাজদরদী এই ব্যক্তিত্বকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় তাঁর বাড়িতে। একজনর দেখতে ছুটে যান তাঁর অত্যমত্ম ঘনিষ্টজন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সহকর্মী কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আসম আখতারুজ্জামান মাসুম। এছাড়া বিভিন্ন মহল  আক্কাস আলী মঞ্জুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সমত্মপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বিভিন্ন মহল।
সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম আক্কাস আলী মঞ্জুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সমত্মপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আসম আখতারুজ্জামান মাসুম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আক্কাস আলী মঞ্জু রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন। অসংখ্য জনহিতকর কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত এই ব্যক্তিত্ব কুষ্টিয়া শিশু হাসপাতালের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠা ও সততার সাথে। এছাড়া সুইট বাংলাদেশ কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি, এফপিএবি কুষ্টিয়া শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন অত্যমত্ম নিষ্ঠার সাথে। বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তাঁর যেমন অসামান্য অবদান রয়েছে তেমনি রাজনীতিতেও তাঁর অসামান্য অবদান ছিল। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছাড়াও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।  সর্বশেষ কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আক্কাস আলী মঞ্জু মৃত্যুকালে স্ত্রী এক পূত্র ও দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে তাঁর নিজ বাড়ী ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিয়ে যাওয়া হবে। বাদ জুম্মা সেখানেই দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!