কেশবপুর(যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে যৌতুকের দাবী পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বামীর ঘর করা হলো না দরিদ্র পিতার একমাত্র কন্যা সালমা শারমিনের। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হওয়ায় ওই প্রভাবশালী মহলটি মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। ফলে পরিবারটি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০০১ সালে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ইয়াকুব সরদারের কন্যা সালমা শারমিনের সাথে পাশ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার নূরানিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ শেখের ছেলে মফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৬৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রীজ, আসবাবপত্রসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল প্রদান করা হয়। স্বামীর ঘর সংসার করা কালে তাদের ঘরে আব্দুলাহ (১১) নামের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। গত ১ বছর আগে থেকে সালমা শারমিনকে তার পিতার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে আরো ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য মফিজুর রহমান বিভিন্ন সময়ে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু তার দরিদ্র পিতার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভাব না বলে জানালে আরিজ উদ্দীন শেখের প্ররোচনায় মফিজুর রহমান কারনে অকারনে সালমা শারমিনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। স্বামীর শত নির্যাতন সহ্য করেও একমাত্র ছেলের মুখের দিকে চেয়ে স্বামীর ঘর করা কালে গত বছরের ১৫ নভেম্বর সালমা শারমিনকে এক বস্ত্রে তার পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে সালমা শারমিন শিশু পুত্রকে নিয়ে পিতার বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দীর্ঘদিনেও যৌতুক লোভী মফিজুর রহমান তার স্ত্রী ও শিশু পুত্রের কোন খোঁজ খবর না নেয়ায় অবশেষে গত ৯ ফেব্র“য়ারী সালমা শারমিন বাদী হয়ে মফিজুর রহমান তার ভাই আরিজউদ্দীনকে আসামী করে যৌতুক নিরোধ আইনে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেন। এ খবর জানতে পেরে মফিজুর রহমার আদালত থেকে এ মামলা তুলে নিতে বাদীকে একেরপর এক হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে পরিবারটি নিরাপত্তা চেয়ে গত ১১ নভেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। যার নং- ৪২৬।