পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার না করায় এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি পালন, গণজামায়েত, প্রতিবাদ সভা ও মানব-বন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতি এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
বণিক সমিতি নেতৃবৃন্দ আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের খুনিদের গ্রেফতারের সময় সীমা বেঁধে দিয়ে ঘোষণা দেন, ঈশ্বরদী থানার ওসি আসামীদের গ্রেফতার না করলে তার অপসারনের দাবিতে ঈশ্বরদী থানা ঘেরাও করে কঠোর অন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
সকালে বাজারের প্রধান গেটের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইউনুস আলী মিন্টু। এসময় বক্তব্য রাখেন বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, খন্দকার শহিদুল আলম পাখি, কেএম আবুল বাসার, সেলিম আহমেদ, আজিজুর রহমান চঞ্চল, সিরাজুল ইসলাম,আবুল কালাম আজাদ, ব্যবাসীয় আব্দুল খালেক প্রমূখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঈশ্বরদী থানার ওসি মাস্তানদের সঙ্গে আতাত করে ব্যবসায়ীর খুনি ও আসামীদের ধরছেনা। জাহাঙ্গীরের খুনিদের গ্রেফতারের জন্য বণিক সমিতি স্থানীয় পুলিশকে সাত দিনের সময় সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। পুলিশ জানে সন্ত্রাসীরা কোথায় আছে। ব্যবসায়ী নেতারা আরও বলেন, অবিলম্বে জাহাঙ্গীরের খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে তারা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফকে স্বারক লিপি দিবেন। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ঈশ্বরদী বাজারে ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বণিক সমিতির সোমবারের কর্মসূচীতে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কোন প্রতিনিধি অংশ না নিলেও ঈশ্বরদীর সর্বস্তরের মানুষ ও ব্যবসায়ী স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অংশ নেন এবং তারা সংহতি প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৭ জানায়ারী রাতে ঈশ্বরদী বাজারের কলেজ রোডে কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এসময় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৩৮) কে সন্ত্রাসীরা এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে। তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।
![](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2023/11/final01.gif)