পিরোজপুর প্রতিনিধি : নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের মনোরঞ্জন বিদ্যানিকেতন ভবনটি মারাত্মক ঝুকির মধ্যে রয়েছে। দ্বিতল এই ভবনের সামনের বারান্দার পিলারগুলোতে রড বেড়িয়ে পড়েছে,কক্ষের ভিতরে ছাদের নিচের পলেস্তারা খুলে রড বেড়িয়ে গেছে। বিজ্ঞানাগার ভবনের ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে বহু ফাটল রয়েছে। ১৯৬৭ সনে এলাকার শিক্ষানুরাগী প্রয়াত মনোরঞ্জন হালদার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের জন্য এই ভবনটি করা হয়। তার পর আর তেমন কোন সংস্কার করা হয়নি। আর বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও বাধ্য হয়ে খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হচ্ছে। কোন ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক ভয়ে ভবনের মধ্যে প্রবেশ করেনা। বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ শ’ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন আতংকের মধ্যে থাকে। প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার হালদার জানান ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা দরকার। সহকারী প্রধান শিক্ষক সুবোধ চন্দ্র হালদার বলেন এ পর্যন্ত ভবন মেরামতের জন্য সরকারি কোন সাহায্য বা অনুদান পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উজ্জল দ্বীপ হালদার জানান আমরা খুবই চিন্তায় আছি। বিদ্যালয়ে এমন কোন ফান্ড নেই যা দিয়ে নতুন ভবন করি। তাছাড়া সংস্কারের আর সুযোগও নেই। ভবন ভে্েঙ্গ ফেলে নতুন করেই করতে হবে। তাই আমরা সংশ্ল্ষ্টি কর্তৃপক্ষের নেক নজর কামনা করছি। ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মিল্টন জানান আমরা জানুয়ারী মাস থেকেই বাইরে ক্লাশ করি। ভয়ে বিদ্যালয় ভবন থেকে দূরে থাকি। নবম শ্রেনীর ছাত্রী স্বর্নালী জানান আমরা জানুয়ারী মাসে নিচ তলার একটি শ্রেনী কক্ষে ক্লাশ করতে ছিলাম। এমন সময় আমার মাথার উপর একখানা পলেস্তরা এসে পড়ে। স্যাররা তখন থেকে আমাদের নিয়ে বাইরে ক্লাশ করেন। নবম শ্রেণীর ছাত্র দিপান্ত দেব মিত্র বলেন সামনে রোদের প্রখরতা বাড়বে , তারপর বৃষ্টির সিজনে আমরা কোথায় যাবো? আমাদের আলাদা কোন ভবন নেই যেখানে স্যারেরা আমাদের ক্লাশ করাবেন। এলাকার শিক্ষানূরাগী ও শহীদ পরিবারের সন্তান মন্মথ নাথ হালদার বাবুরাম বলেন আমাদের বিদ্যালয় ভবনটি মেরামত করা জরুরী প্রয়োজন।