শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার ও স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করলেই বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেইসাথে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে নিরীহ মানুষ হত্যা ও সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত হামলার জন্য জাতির কাছে বিএনপিকে ক্ষমাও চাইতে বলেছে ক্ষমতাসীন দলটি। ১৫ জানুয়ারী বুধবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ওইসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতেই আওয়ামী লীগ ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার পুরো বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ওপর বিষোদগারই করা হয়েছে। দেশের স্বার্থে সংবিধান সমুন্ন রাখা ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে তিনি ‘গণতন্ত্র হত্যা’র সঙ্গে তুলনা করে সংবিধানকে অসম্মান করেছেন।
গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতেই বাংলার মানুষ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার নামে বিএনপি ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি দিয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যা ও সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম খালেদা জিয়া এজন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইবেন। তিনি তা করেন নি। আমরা আরও আশা করেছিলাম তিনি ( খালেদা জিয়া) ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণাও দেবেন। সেটি করতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অত্যাচার, নির্যাতনের জন্য ক্ষমা না চেয়ে বরং নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে গিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাই করেছেন তিনি।
আলোচনায় বসার জন্য খালেদা জিয়ার আহŸান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করে সংকট সমাধানে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার আলোচনা করে সংকট সমাধানের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিপরীতে তারা ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৃণাল কান্তি দাস, শাহিদা তারেখ দীপ্তি প্রমুখ।
